সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
পুঁইশাক চাষে সফল সুফিয়া, আগ্রহী হচ্ছে অন্য কৃষকরাও অতিরিক্ত টোল আদায় করলেই ইজারা বাতিল-ভোলায় উপদেষ্টা সাখাওয়াত কৃতি ফিরোজীকে বাঁচাতে সাভারে চ্যারিটি কনসার্ট আওয়ামী লীগের সাথে দ্বন্দ্ব নাই, যারা অন্যায় করেছে তাদের বিচার চাই-আব্দুল আউয়াল মিন্টু জলঢাকায় গণঅধিকার পরিষদের গণসমাবেশ সোনারগাঁওয়ে মাসব্যাপি লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব শুরু শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানে ৮৯তম জন্মদিন উপলক্ষে আগৈলঝাড়া বিএনপি’র উদ্যোগে আনন্দ র‌্যালি পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষতিগ্রস্তুদের অবস্থান কর্মসূচি জামালপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে দুস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ ভুট্টা চাষে দেশের শীর্ষে চুয়াডাঙ্গা: ৫৯,৬৫৬ হেক্টর জমিতে আবাদ

হাত দিয়ে টান দিলেই উঠে যাচ্ছে রাস্তার কার্পেটিং

সাগর মিয়া (জাজিরা) শরীয়তপুর
  • আপডেট সময় বুধবার, ১০ জুলাই, ২০২৪

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পশ্চিম নাওডোবা ইউনিয়নের সিকদার মার্কেট থেকে আবেদ আলী মুন্সি কান্দি সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজ গত ২৮ জুন শুক্রবার শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে কার্পেটিংয়ের পাথর ঝরঝরা হয়ে উঠে যাচ্ছে। এছাড়াও হাত দিয়ে টান দিলেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিংয়ের পুরো অংশ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, শুরু থেকে সড়কটিতে নিম্নামানের ও প্রয়োজনের চেয়ে কম নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ করা হচ্ছিল। এলাকাবাসী বাধা দিলে তা উপেক্ষা করে ঠিকাদার কাজ অব্যাহত রাখেন। জেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে জাজিরা উপজেলার নাওডোবা হাট থেকে পশ্চিম নাওডোবা সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয় এলজিইডি। ২ হাজার ৫২৫ মিটার দীর্ঘ এ সড়ক উন্নয়নকাজে ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি ১০ লাখ ১৫ হাজার ৩৬১ টাকা। কাজটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোস্তফা এন্ড সন্স। ২০২৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি কাজটি শুরু হয়ে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিলো চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি । তবে মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও যথাসময়ে কাজটি সম্পন্ন করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এদিকে এ প্রকল্পের বিল বাবদ এ পর্যন্ত ১ কোটি ৪৫ লক্ষ ৩৮ হাজার ২৮ টাকা তুলে নিয়েছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি। সরেজমিনে ঐ সড়কে গিয়ে দেখা যায়, সড়কটির পশ্চিম নাওডোবার সিকদার মার্কেট থেকে আবেদ আলী মুন্সী কান্দি পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে গেছে। এছাড়াও বিটুমিনের পরিমাণ কম হওয়ায় সড়কের মাঝে মাঝে কার্পেটিংয়ের পাথর ঝরঝরা হয়ে উঠে যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা মনির হোসেন মুন্সি অভিযোগ করে খবরপত্রকে বলেন, “ঠিকাদার সড়কটির কার্পেটিং করার সময় পুরনো ইটের খোয়া ও নিম্নামানের বিটুমিন ব্যবহার করেছেন। এ ছাড়াও সড়কটি সংস্কারের সময় সঠিকভাবে রোলিং ও মজবুতিকরণ না করে তড়িঘরি করে কাজ শেষ করেছে। ফলে কয়েকদিন না যেতেই কার্পেটিং উঠে গিয়ে আগের মতো খানাখন্দের সৃষ্টি হচ্ছে।” ভ্যান চালক শাহ আলম খবরপত্রকে বলেন, “ঠিকাদার এখানে চরম দুর্নীতি ও কাজে অবহেলা করেছে। তাই এই রাস্তার কাজ শেষ না হতেই এমন বেহাল অবস্থা হচ্ছে। সরকারের কাছে আবেদন আমাদের এই রাস্তাটি সঠিকভাবে কাজ করে দেওয়া হোক।” স্থানীয় ইউপি সদস্য জুলফিকার আলী খবরপত্রকে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় পদ্মাসেতুর উছিলায় আমরা এ অঞ্চলের মানুষ নতুন সংযোগ সড়ক পেয়েছি। কয়েকদিন আগে এ রাস্তার কার্পেটিং শেষ হয়েছে। কাজ শেষ হওয়ার পরে কিছুদিন না যেতেই বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের যে ধারা সেটি ঠিকাদারের গাফলতিতে ব্যাঘাত ঘটেছে। আমাদের দাবী সড়কটি পুনরায় সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হোক। এ সড়কের সংস্কার কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আবু বেপারীর সাথে কথা বললে তিনি খবরপত্রকে বলেন, “১০ দিন হয়েছে ঐ সড়কের কার্পেটিং সহ সব কাজ শেষ হয়েছে। এখন কোন সমস্যা হয়ে থাকলে তা ঠিক করে দেয়া হবে। ১০ দিনের মাথায় কার্পেটিং উঠে যাওয়ার কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাজ করার সময় বৃষ্টি ছিল তাই ঠিকমত বিটুমিন মিলেনি।” বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের শরীয়তপুর জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম রাফেউল ইসলাম খবরপত্রকে বলেন, “সড়কটি আমি পরিদর্শন করেছি। সড়কের কয়েকটি স্থানে সমস্যা পেয়েছি। ঠিকাদারকে পুনরায় ঐ সড়কের উপরে আরেকটি লেয়ার দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঐ প্রকল্পের কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও কাজ শেষ না হওয়ার বিষয়ে তাদের পদক্ষেপ কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেয়াদের বাইরে সময় বেশী লাগার বিষয়ে ঠিকাদার যদি যৌক্তিক কারন দেখাতে পারেন তবে তাকে প্রকল্পের সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধ করা হবে। নয়তো জরিমানা করা হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com