নগরীর ছাদ ও বেলকনিগুলো সবুজ ভরে উঠছে। ছাদে ও বেলকনিতে বিভিন্ন ফুল ও ফলের সঙ্গে চাষ হচ্ছে লাউ, কুমড়োসহ বিভিন্ন সবজি। ডা. নার্গিস আক্তার নগরীর ঠাঁকুরপাড়ায় ছাদে গড়ে তুলেছেন বাগান। তিনি জানান, দিনভর অফিস চেম্বার শেষ করে যত ব্যস্ততা থাকুক রাতে ফিরেও বাগান দেখাশোনা করেন। নিজের পারিবারিক চাহিদার সব্জির প্রায় সবটাই মিটে যায় বাগান থেকে।
শহরের ঢুলিপাড়ায় এলাকায় সালমা আমীনও গড়ে তোলেছেন ছাদ বাগান। তিনি কৃষির সব পরামর্শ খুব সহজেই ঘরে বসেই পেয়ে থাকেন স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে। প্রায় ১৫০টির উপর নানা ফল ও ফুলগাছ রয়েছে তার বাগানে। নিজের পরিবারের চাহিদা বাগান থেকেই সিংহভাগ মিটে যায়।
খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, শুধু শহর নয়, জেলার প্রায় উপজেলার ছাদ বাগান গড়ে ওঠেছে। লাকসামের বাসিন্দা রবিন খাইরুল আনাম জানান, তার বাগানে ৫ শতাধিক গাছ রয়েছে। দেশ-বিদেশের অর্কিড, দুষ্প্রাপ্য গাছ, লতানো গাছ, ইনডোরের গাছ, ফল গাছ দিয়ে নিজের বাড়িটি সাজিয়েছেন। তিনি বাসসকে জানান, চিকিৎসা বিদ্যা যেমন মানবিক হতে শিখায় তেমনি বাগান মানুষকে মানবিক করে গড়ে তোলে। বাগান করা কেবল শখ নয়, প্রয়োজনও বটে।
কুমিল্লা কৃষি অফিসের উপ-পরিচালক আইযূব মাহবুব বাসসকে জানান, করোনাকালীন সময়ে অনেকেই ছাদ বাগানের প্রতি ঝুঁকেছেন। অনেকে তাদের অফিসে এসে বিভিন্ন পরামর্শ নিয়ে যাচ্ছেন। তারাও প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনাসহ বিভিন্ন উপকরণ বিনামূল্যে তাদেরকে দিয়ে ছাদবাগানে উৎসাহিত করছেন।