ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে কাঁচামাটিয়া নদীর ওপর ব্রীজের একটি পাটাতন ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় চার ইউনিয়নের বাসিন্দারা। এঅবস্থায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে স্কুল শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। কাঁচা মাটিয়া নদীর ওপর নি?র্মিত ব্রীজের একাংশ ভেঙে যাওয়ায় এমন দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। এতে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়েছে চারটি ইউনিয়নে বেশকিছু এলাকা। শুক্রবার (১২ জুলাই ২০২৪) বিকেলে সাহেবনগর এলাকায় কাঁচা মাটিয়া নদীর ওপর ওই ব্রীজটি ভেঙে পড়ে।ব্রীজটি ভেঙে যাওয়ার পর যাতায়াতের জন্য কলাগাছের বেলা বানিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে মানুষ। জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর স্বল্প ব্যায়ে গ্রামীন সড়কে ব্রীজ-কালভার্ট নির্মান প্রকল্পের আওতায় উপজেলার সোহাগী বাজার হইতে দেওয়ানগঞ্জ বাজার রাস্তায় সাহেব নগর এলাকায় কাঁচামাটিয়া নদীর উপর ৭৫১ ফুট দৈর্ঘ ও ৮ ফুট প্রস্ত একটি ব্রীজ স্থাপন করা হয় ১৯৯৯ সালের জানুয়ারি মাসে। দীর্ঘ পঁচিশ বছর পার হওয়ার পর ব্রিজটি একটু দূর্বল হয়ে যায়। এরই মাঝে প্রায় পনেরদিন আগে ব্রিজের উত্তরের অংশের একটি পাটাতন হালকা দেবে যায়। পরে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা এলজিইডি অফিসের লোকজন সরেজমিন পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নিবে বলে জানায়। কিন্তু গত শুক্রবার বিকেলে একটি লড়ি ট্রাক্টর যাওয়ার সাথে সাথেই ব্রীজের একটি পাটাতন ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। এসময় অল্পের জন্য লড়ি ট্রাকটি ও চালক বড় ধরনের দূর্ঘটনা থেকে বেঁচে যায়।
এদিকে ব্রীজটির একটি পাটাতন ভেঙে যাওয়ায় প্রায় ৪টি ইউনিয়নের মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তাই বিষয়টি নিয়ে ভেঙে যাওয়া ব্রীজটি দ্রুত সংস্কার করার জন্য জোর দাবি জানান চলাচলকারীগন। স্থানীয় আনোয়ার হোসেন নামের একজন বলেন, ১৯৯৯ সালে ব্রিজটি করা হয়েছে। বর্তমানে ব্রিজটি খুবই দূর্বল হয়েগেছে। যে কারনে কয়েকদিন আগে ব্রিজের একটি অংশ হালকা দেবে গেছে। পরে দেবে যাওয়া বিষয়টি নিয়ে উপজেলা এলজিইডি অফিস থেকে লোকজন এসে দেখে গেছে। এরমধ্যেই শুক্রবার বিকেলে হঠাৎ করে একটি পাটাতন ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। এঅবস্থায় বেশকিছু গ্রামের লোকজন চরম ভোগান্তিতে পড়ছে। তাই বিষয়টি নিয়ে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান করার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির ভূইয়া বলেন, হঠাৎ করে ব্রীজের একটি অংশ ভেঙে যাওয়ায় যাতায়াত করতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে লোকজনের। তাই বিষয়টি নিয়ে আমি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে কিভাবে দ্রুত সমাধান করে মানুষের কষ্ট দুর করা যায় সেজন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশাকরি খুব দ্রুত সময় সমাধান হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। উপ?জেলা প্রকৌশলী আযেশা আক্তার ব?লেন, ব্রীজ ভেঙে যাওয়ার খবর পেয়ে আমাদের অফিস থেকে পরিদর্শনের জন্য লোক পাঠানো হয়েছে। যদিও সংস্কার করতে একটু সময় লাগবে। তারপরও যতদ্রুত সম্ভব সংস্কার কাজ শেষ করে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করা হবে।