কুড়িগ্রামের উলিপুরে শর্ট সার্কিটের আগুনে পাঁচটি দোকান পুড়ে গেছে। এ সময়ে পার্শ্ববর্তী ৫টি দোকান থেকে নগদ টাকাসহ মালামাল নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। একদিকে আগুন ও অন্যদিকে দূর্বৃত্তরা নগদ টাকাসহ মালামাল নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। ঘটনাটি ঘটেছে, শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে থেতরাই বাজারে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার থেতরাই বাজারে শুক্রবার জুম্মার নামাজ চলাকালীন সময়ে বৈদ্যুতিক শর্ট সাকিট থেকে জনৈক রাশেদুল ইসলামের হার্ডওয়্যারের দোকানে আগুনের সুত্রপাত হলে পরপর আরও চারটি দোকানে দ্রুতই আগুন ছড়িয়ে পরে। এ সময় স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায় এবং ফায়ার সার্ভিসের খবর দেন। এদিকে কিছু লোক আগুন নেভানোর কাজে ব্যস্ত থাকার সুযোগে পার্শ্ববর্তী ৫টি দোকানে দূর্বৃত্তরা লুটপাট চালিয়ে নগদ টাকাসহ মালামাল নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ দোকানীরা। আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ দোকানী রাশেদুল ইসলাম, মাসুদ মিয়া, সাদেকুল ইসলাম, নওয়াব আলী ও আমিনুল ইসলাম জানান, সকালে বেঁচাকেনা শেষে নামাজ আদায়ের জন্য দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যান। নামাজ চলাকালীন সময় হঠাৎ করে কিভাবে যেনো দোকানগুলোতে আগুন লেগে যায়। এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন ও ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন। এ সময় একটি হার্ডওয়্যার, একটি ইলেকট্রনিক্স, দুইটি ফার্মেসী ও একটি সেলুন পুরোপুরি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। দোকানীরা দাবী করেন, নগদ অর্থ, মালামাল ও অবকাঠামোসহ প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এদিকে পার্শ্ববর্তী দোকানে আগুন লাগার ঘটনাকে কেন্দ্র করে একই সময় পরপর পাঁচটি দোকানের নগদ টাকাসহ মালামাল নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গালামাল দোকানি আব্দুস সালাম, সাইফুল ইসলাম, পান বিক্রেতা রবিউল ইসলাম, ওষধের দোকানি সাইফুর রহমান, ফটোকপি ও ষ্টেশনারী দোকানি জিল্লুর রহমান বসুনিয়া দাবী করেন, পাশ^বর্তী দোকানে আগুন লাগার সুযোগে আমাদের দোকান গুলোর শার্টারের তালা ভেঙ্গে কে বা কাহারা নগদ টাকা ও মালামাল নিয়ে যায়। এতে প্রায় ৯ লাখ টাকা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন বলে তারা জানান। তারা আরও বলেন, এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করা হবে। থেতরাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা বাজারের দোকানে আগুন লেগে পুড়ে যাওয়ার সময় পার্শ্ববর্তী ৫টি দোকানের তালা ভেঙ্গে নগদ টাকাসহ মালামাল লুটের ঘটনা তিনি শুনেছেন বলে জানান। কারা এই ঘটনার সাথে জড়িত সে ব্যাপারে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। উলিপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাব-ষ্টেশন কর্মকর্তা আব্বাস আলী জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে ইলেকট্রিক শর্টসার্কিটের কারনে আগুনের সুত্রপাত হতে পারে। হার্ডওয়্যারের দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার থাকায় এবং তাতে আগুন লাগায় আগুন দ্রুতই পাশ^বর্তী দোকানে ছড়িয়ে পরে। আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে তা বলা যাবে। উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লুটপাটের বিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।