বৈষমীবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই ছাত্রদের পক্ষে অবস্থান নেন চলচ্চিত্রকার মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। ছাত্রদের একদফা দাবি আদায়ের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর ফারুকী জানালেন কেমন বাংলাদেশ প্রত্যাশা তার। দুপুরে তিনি লিখেছেন, ‘ধৈর্য এবং সংযম, প্রিয় ভাই ও বোনেরা। ভালোবাসা সবাইকে।’ ঘণ্টাখানেক পর তিনি লেখেন, ‘৩৬ জুলাইয়ে স্বাধীন দেশে স্বাগতম! কী করে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের স্থপতির কন্যা থেকে পৃথিবীর ইতিহাসে নিকৃষ্টতম এবং নিষ্ঠুরতম স্বৈরশাসকে পরিণত হলো শেখ হাসিনা, এটা ভবিষ্যতে ইতিহাসের ছাত্ররা মনোযোগ দিয়ে পাঠ করবেন। এবং রাজনীতিকরা শিক্ষা নেবেন আশা করি।’
কেমন বাংলাদেশ প্রত্যাশা তার? সে প্রসঙ্গে ফারুকী লিখেছেন, ‘বিজয়ের আনন্দ অবশ্যই করবো! কিন্তু এখন সময় সংযমেরও, চোখকান খোলা রাখারও। আমরা ২০ বছর প্রতিহিংসার রাজনীতি দেখেছি। প্রতিহিংসার উত্তর দিবো আমরা কাইন্ডনেস এবং এমপ্যাথি দিয়ে।
পাশাপাশি আমরা চোখ খোলা রাখবো আগামী দুই তিন দিন। নিশ্চয়ই আমরা একটা মানবিক গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের দিকে আগাইয়া যাব। লাস্টলি, স্যালুট টু বাংলাদেশী ইয়ুথ অ্যান্ড পিপল ফ্রম অল ওয়াকস। টুগেদার উই স্ট্যান্ড টল।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নির্মিত সর্বশেষ সিনেমা ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ মুক্তি পায় গত বছর। তাতে প্রথমবারের মতো অভিনয়ও করেন তিনি। ২০১৬ সালের হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় হামলার ঘটনার ওপর ভিত্তি করে তার বানানো সিনেমা ‘শনিবার বিকেল’ দেশে সেন্সর ছাড়পত্র পায়নি। দীর্ঘ বিরতির পর সনি লিভ নামের একটি বিদেশি ওটিটিতে মুক্তি পায় ছবিটি, যা এ দেশের মানুষের দেখার সুযোগ ছিল না। এই নির্মাতার বানানো সিরিজ ‘৪২০’ দেশের রাজনৈতিক অবস্থাকে নগ্ন করে তুলে ধরেছিল। সে কারণে মাঝপথে সিরিজটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।