ভারতে বাংলাদেশের মতো অভ্যুত্থান ঘটতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা সালমান খুরশিদ। তিনি বলেন, ‘?বাংলাদেশে যা ঘটছে তা এখানেও ঘটতে পারে। আমাদের দেশে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভ-প্রতিবাদকে যেভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে, সেই একই বিষয়ের বিস্ফোরণ ঘটেছে বাংলাদেশে। এখানেও বাংলাদেশের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।’ মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ‘শিকওয়া-ই-হিন্দ: দ্য পলিটিক্যাল ফিউচার অফ ইন্ডিয়ান মুসলিমস’ নামে বইয়ের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। ইতোমধ্যে তার এই মন্তব্য ঘিরে ভারতে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। সালমান খুরশিদ বলেন, কাশ্মিরে সবকিছু স্বাভাবিক মনে হতে পারে। এখানে সবকিছু স্বাভাবিক মনে হতে পারে। আমরা হয়তো বিজয় উদযাপন করছি। যদিও কিছু মানুষ বিশ্বাস করে, সেই বিজয় বা ২০২৪ সালের সাফল্য খুব বড় ছিল না। সম্ভবত আরও অনেক কিছু করা দরকার। তিনি বলেন, মূল বিষয় হলো সেখানে কিছু আছে।
এরপর তিনি বলেন, ‘?বাংলাদেশে যা ঘটছে তা এখানেও ঘটতে পারে। আমাদের দেশে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভ-প্রতিবাদকে যেভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে, সেই একই বিষয়ের বিস্ফোরণ ঘটেছে বাংলাদেশে। এখানেও বাংলাদেশের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।’
বিজেপি নেতারা সালমান খুরশিদের ওই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং তাকে ‘নৈরাজ্যবাদী’ নেতা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তারা। বিজেপি নেতা শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেছেন, কংগ্রেস পার্টি বলেছে, বাংলাদেশের ইস্যুতে তারা ভারত সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে। কারণ, এটি কোনো রাজনৈতিক ইস্যু নয় এবং এটি নিয়ে কোনো রাজনীতি করাও উচিত নয়। তবে তাদের নেতা সালমান খুরশিদ ভারতের জনগণকে উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। কংগ্রেস নেতা শশী থারুর বাংলাদেশের বিষয়ে সালমান খুরশিদের মন্তব্যের বিষয়ে বলেছেন, কী বোঝানোর জন্য এমন মন্তব্য করেছেন তা আমি ব্যাখ্যা করতে পারব না। তবে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার আন্দোলন গণতন্ত্রের গুরুত্ব এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বৃহত্তর বার্তা দিয়েছে। এদিকে, এই মন্তব্যের বিষয়ে বুধবার (৭ আগস্ট) কংগ্রেস নেতা এবং সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সালমান খুরশিদের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি যা বলি তা প্রকাশ্যে বলি, গোপনে কখনই বলি না। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।