বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সকল শহীদ আমাদের জাতীয় বীর। তাদের ত্যাগ ও চরম সাহসিকতার দৃশ্য সারাবিশ্ব দেখেছে। তাদের আত্মত্যাগ আমাদের নতুন করে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।’
তিনি বলেছেন, ‘সাংবাদিকরাও এই আন্দোলনে সত্য তুলে ধরার মাধ্যমে অগ্রণী ভুমিকা পালন করেছে। সিলেট শহরে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সম্ভাবনাময় তরুণ সাংবাদিক এ টি এম তুরাবকে প্রকাশ্য দিবালোকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে। তুরাবের এই ত্যাগ আমরা সারাজীবন মনে রাখব।’
গত শনিবার বিকেলে শহীদ সাংবাদিক এ টি এম তুরাব স্মরণে তার জন্মস্থান
বিয়ানীবাজার উন্নয়ন ফোরাম আয়োজিত শোকসভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘এখানে নাগরিক শোকসভা ও দোয়া মাহফিল, তাই শহীদ সাংবাদিক আবু তুরাবের জন্য আমরা মন থেকে দোয়া করব যাতে আল্লাহ তায়ালা তাকে শহীদি মর্যাদা দিয়ে জান্নাত দান করেন।’
তিনি এ সময় শহীদ সাংবাদিক তুরাবসহ এ আন্দোলনে সকল শহীদদের জন্য বিশেষ দোয়া করেন। সকল হত্যাকা-ের বিচার নিশ্চিত করতে তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে আহ্বান জানান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে গত ১৯ জুলাই সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন দৈনিক জালালাবাদের স্টাফ রিপোর্টার এবং দৈনিক নয়া দিগন্তের সিলেট ব্যুরো প্রধান আবু তাহের মো: তুরাব।
পৌরশহরের উত্তর বাজারে বিয়ানীবাজার উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি মাওলানা ফয়জুল ইসলামের সভাপতিত্বে, ফোরাম নেতা মুড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফরিদ আল মামুন ও ফোরাম নেতা আব্দুল হামিদের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদদ্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, জেলা উত্তরের আমির হাফিজ আনওয়ার হোসাইন খান, জেলা দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত আমির ও সাবেক দক্ষিণ সুরমা উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা লোকমান আহমদ, জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন।
আরো বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ আল হোসাইন, মুড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল খায়ের, সিলেট জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য নজরুল ইসলাম, লাউতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, সমাজসেবী কাজী আবুল কাশেম, বড়লেখার উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এমাদুল ইসলাম, সমাজসেবক আহমাদুর রহমান খান হিনু, সাংবাদিক মিলাদ জয়নুল, বিয়ানীবাজার পৌরসভার কাউন্সিলর এমাদ উদ্দিন, বিএনপি নেতা আব্দুল ফাত্তাহ বকশী, ১২ দলীয় জোট নেতা মুফতি আব্দুল করিম হক্কানি, আইনজীবি আসাদ উদ্দিন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র আহবাব হোসেন মুরাদ, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা আমিনুল ইসলাম, ছাত্রনেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ফাতেহুল ইসলাম।
শনিবার বিকেলে তিনি বিগত আন্দোলনে নিহত গোলাপগঞ্জ উপজেলার সাত শহীদ পরিবারের মধ্যে ঘোষগাঁও গ্রামের গৌছ উদ্দিন, বারকোট গ্রামের তাজ উদ্দিন, উত্তর কানিশাইল গ্রামের কামরুল ইসলাম পাবেল, নিশ্চিন্ত গ্রামের নাজমুল ইসলাম, রায়গড় গ্রামের হাসান আহমদ, দত্তরাইল গ্রামের মিনহাজ উদ্দিন ও শিলঘাট গ্রামের সানি আহমদের পরিবারকে সমবেদনা জানান এবং নিহতের অভিভাবকদের হাতে নগদ আর্থিক অনুদান তুলে দেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি