আইনের শাসন নিশ্চিত করা, বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা স্বাধীন মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ প্রকৃত গণতন্ত্রের অন্যান্য শর্ত ও উপাদান পুরণে আবু সাঈদদের আত্মা শান্তি পাবে। তা না হলে আবু সাঈদদের আত্মা কখনও শান্তি পাবে না। আবু সাঈদের আত্মত্যাগ আত্মদানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশেরে যে শাসরুদ্ধকর অবস্থা ছিল, আমরা যে অক্সিজেন গ্রহন করতে পারতামনা, তার এই আত্মদানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার পরাজয় এবং গণতন্ত্রের শুভ সম্ভাবনার যে পরিবেশ প্রস্তুত হয়েছে, সে জন্য আল্লাহর দরবারে আবু সাঈদসহ সাম্প্রতিক কিশোর কিশোরীদের যেই আন্দোলন, সেই আন্দোলনে যারা আত্মদান করেছে তাদের প্রত্যেকের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। গতকাল শনিবার দুপুরে বৈষম্য বিরোধীছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে প্রথম শহীদ রোকেয়া বিশ্বিবিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদের কবর জিয়ারত ও পরিবারের সদস্যদের সাথে মত বিনিময়কালে এসব কথা বলেন বিএনপি’র জ্যেষ্ঠ যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ সময়তাঁর সফরসঙ্গী ছিলেন সহধর্মিণী আইভি রিজভী, ইঞ্জিনিয়ার ইকবালুর রহমান খোকন। তিনি বলেন, আমরা শুধু একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনই নয়,অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের পাশাপাশি গণতন্ত্র শুধু নির্বাচন নয়, সেখানে আইনের শাসন নিশ্চিত করা, সেখানে বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, যে রাজনৈতিক দল বা যে রাজনৈতিক দর্শন বা বিশ্বাসে মানুষ বিশ্বাসি সে টিযাতে মুক্তভাবে নির্ভয়ে মানুষ প্রকাশ করতে পারে সেটি হচ্ছে প্রকৃত গণতন্ত্র। সেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্যই তো আবু সাঈদরা জীবন দিয়েছে, সেই পরিবেশ নিশ্চিত করা। তিনি আরও বলেন, অর্ন্তবর্তিকালীন সরকার, যাদের আত্মদানের মধ্য দিয়ে এই অর্ন্তবর্তিকালীন সরকার গঠিত হয়েছে নিশ্চিত সবাই একটা যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন হবে। অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। আমাদেরও যারা নির্বাচনে বিজয়ী হবেন বা হবেন না, অংশ গ্রহনরত প্রত্যোকটি রাজনৈতিক দলের, প্রকৃত গণতন্ত্রের অন্যান্য যে শর্ত গুলো রয়েছে, যেই উপাদান গুলো আছে, সেই উপাদান গুলোর চর্চা এবং তা পুরণ করার জন্য তাদেরকে চেষ্টা করতে হবে। রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার পরাজয়ের মধ্য দিয়ে, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পরাজয়ের মধ্য দিয়ে আমরা এখন যেভাবে কিছুটা মুক্ত নিঃশ্বাস নিতে পারছি সেজন্য আজকে আমরা প্রত্যেকে উদ্বুদ্ধ। জণগনের শক্তির উপরে কোন শক্তি নাই, এই শক্তির ভান্ডার হচ্ছে কিশোর তরুন, যুগ যুগেই কিশোর তরুণরাই রাস্তায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে, তখন কোন দজ্জাল, ভয়ংকর, ফ্যাসিষ্ট, ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি, অহংকার করে মন্ত্রীরা বলতেন অমুকের কন্যা পালিয়ে যাবেন না, যে কন্যা মানুষের কন্ঠ রুদ্ধ করেছে, যে কন্যা তার নিজের দেশের জনগণকে শুধুমাত্র তার অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে গুম করেছে, খুন করেছে, নিরুদ্দেশ করেছে, বিচার বহির্ভুত হত্যা করেছে সে ঠিকে থাকবে কিভাবে?, দেশের ১৮ কোটি মানুষযাদের অতীতে অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করা যে সংগ্রাম, দেশের স্বাধিনতা রক্ষার যেই সংগ্রাম, দেশের মানুষ বরাবর স্ধীবাধীনতার জন্য সংগ্রাম করে।
সেই সকল লড়াইয়ের সুত্র ধরে আবু সাঈদরা সর্বশেষ লড়াইয়ে বিজয়ী হয়েছে। যেটা কেবলা হচ্ছে দ্বিতীয় স্বাধীনতা। আবু সাঈদ দ্বিতীয় স্মবাধীনতার মহান নায়ক, প্রধান সেক্টর কমান্ডার। তিনি বলেন, তারেক রহমান বার্তা পাঠিয়েছেন বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আবু সাঈদের নামে অঞ্চলে পীরগঞ্জ, রংপুর বা ঢাকায় বৃহৎ জনহীতকর প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে। সেটি বড় ধরনের হাসপাতাল কিংবা কলেজ বিশ্বিবিদ্যালয় তার নামে করা হবে। আইনের শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত হলে অন্যায়কারী অপরাধীরা পার পাবে না। অনেকে পালিয়েছেন তারও পার পাবেন না। শেখ হাসিনার চুল চেরা অপরাধের বিচার হবে। অপরাধ জনসমুক্ষে প্রকাশ হবে।