তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আশি বা নব্বই দশকের প্রজন্ম ছাড়া কেউ বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) দেখে কি না জানা নেই। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর গতকাল রোববার (১৮ আগস্ট) সচিবালয়ে প্রথম অফিসে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠানগুলোকে দ্রুততার সঙ্গে গতিশীল ও আধুনিক করা দরকার। সেগুলো খুবই স্থবির অবস্থায় আছে। বিটিভিকে দেখলে মনে হয় এটা আশি বা নব্বই দশকের বিটিভি। ওই জেনারেশনই বিটিভি দেখে, আর কেউ বিটিভি দেখে কি না জানি না।
উপদেষ্টা বলেন, ‘এর একটা দিক হলো এর দলীয়করণ, রাজনীতিকীকরণ আছে, আরেকটা হচ্ছে, কনটেন্টগুলো মনে হচ্ছে এই প্রজন্মের জন্য নয়। সেই জায়গা থেকে মনে করি, সব প্রতিষ্ঠানকে আধুনিকীকরণ করা উচিত।’
‘সরকারি একটা প্রতিষ্ঠান, সেখানে কিছু সরকারের অ্যাসাইন করা লোক বসবে, কিছু পদ দখল করে বসে থাকবে, এ রকমটা যাতে না হয়।’ নাহিদ ইসলাম বলেন, সেন্সর বোর্ড, জুরি বোর্ডসহ এই ধরনের যে কমিটিগুলো রয়েছে, সেগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে পুনর্গঠন করা উচিত। চলচ্চিত্র নিয়ে অনেক বেশি কাজ করতে হবে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমাদের তরুণ প্রজন্মের চলচ্চিত্র থেকে অনেক আকাঙ্ক্ষা। তরুণ প্রজন্মের সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ হচ্ছে না। সেই আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আমাদের চলচ্চিত্র নিয়ে কাজ করতে হবে।
তথ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, অনেকগুলো চলচ্চিত্র সেন্সরড অবস্থায় আছে। সেগুলো পুনর্বিবেচনা করা উচিত। যদি নীতিমালা ভঙ্গ না হয়, সেই চলচ্চিত্রগুলোকে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকাশ করার সুযোগ দেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে কোন ধরনের স্বজন-প্রীতি কিংবা ব্যক্তিগত পরিচয় যাতে বিবেচনায় না নেওয়া হয়। যদি গণতন্ত্র চাই তাহলে আমাদের গণমাধ্যমের বাক-স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন নাহিদ ইসলাম।