চলচ্চিত্র নির্মাতা অনন্য মামুনের অপেশাদার আচরণের শিকার অভিনেত্রী এলিনা শাম্মী। আজ (২০ আগস্ট) মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে সে রকমই দাবি করেছেন এই অভিনেত্রী। শুধু তাই নয়, ক্ষমা না চাইলে নির্মাতার বিরুদ্ধে মামলা করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে শাম্মী বলেন, “আমি সরল বিশ্বাসে পরিচালক অনন্য মামুনের ছবিতে কাজ করেছিলাম। তার সাথে আমার প্রথম কাজ ‘কসাই’। তারপর ‘রেডিও’ ও সর্বশেষ ‘দরদ’। যার মধ্যে ‘দরদ’ একটি প্যান ইন্ডিয়ান ছবি। যার শুটিং হয় ভারতের বেনারসে। সে ছবিতে আমি একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছি। এ ছবির শুটিংয়ের জন্য ১৯ দিন আমি ভারতে ছিলাম। আমার শুটিং হয়েছে ১৬ দিন। এ ছবিতে অভিনয়ের জন্য নির্মাতা আমাকে মাত্র ১৬ হাজার টাকা দিয়েছেন, যা আমার সম্মানীর চেয়ে কম।”
এলিনার দাবি, দিন প্রতি শুটিংয়ের জন্য তিনি ১০ হাজার টাকা নেন। অথচ নির্মাতা তাকে সেই মোতাবেক টাকা দেননি। এমনকি আগের ছবিগুলোর জন্যও কোনো সম্মানী দেননি। তিনি বলেন, ‘সম্মানী নিয়ে নয়-ছয় করে শেষে আমার অনুমতি না নিয়ে ব্যক্তিগত আলোচনার মেসেঞ্জার স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন।’
ঢালিউড নির্মাতা অনন্য মামুনের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ এনে তিনি বলেন, “তিনি ‘দরদ’ ছবির শুটিংয়ের সময় আমার সাথে অপমানজনক ব্যবহার করেছেন, যা আমাকে ব্যথিত করেছে। আমি অসম্মানিত বোধ করেছি। এছাড়া আমাকে ডাবিংয়ে ডেকে দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়ে পরে অন্য এক নারীকে নিয়ে প্রবেশ করেন এবং তার ডাবিং শুরু করেন। আমি এসবের বিচার চাই।”
এ আচরণের জন্য অনন্য মামুনকে ক্ষমা চাইতে হবে দাবি করে এলিনা শাম্মী বলেন, ‘তাকে এসবের জন্য সরি বলতে হবে। নইলে আমি আইনি ব্যবস্থা নেব।’ তিনি আরও বলেন, ‘অনন্য মামুন অন্য শিল্পীদের সাথেও এ ধরনের আচরণ করেন, প্রাপ্য সম্মানী থেকে তাদের বঞ্চিত করেন, অপেশাদার আচরণ করেন, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমি চাই সবাই এ বিষয়ে সোচ্চার হবেন।’
গত কয়েক বছর ধরে বিনোদন অঙ্গনে কাজ করে যাচ্ছেন এলিনা শাম্মী। শাহ আলম কিরণ পরিচালিত ‘একাত্তরের মা জননী’ ছবি দিয়ে ঢালিউডে তার যাত্রা শুরু হয়। ‘দরদ’-এর অন্যতম অভিনেত্রী এলিনা শাম্মী টিভি নাটকে নিয়মিত অভিনয় করেন। এ ছাড়া ‘প্রিয়তমা’, ‘কাগজ’, ‘মুখোশ’ ও সর্বশেষ ‘ছায়াবৃক্ষ’ ছবিতে দেখা গেছে তাকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীচিত্র ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ ছবিতে খালেদা জিয়ার ভূমিকায় দেখা গেছে তাকে।