শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২১ পূর্বাহ্ন

বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানো এখন বড় ইবাদত

ইসলাম ডেস্ক:
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৪

বন্যাকবলিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বানভাসি মানুষ অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয় ও চিকিৎসার অভাবে অর্ধাহারে-অনাহারে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে দিন যাপন করছেন। বন্যাদুর্গত অ লে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রের অভাবে তারা সুচিকিৎসা পাচ্ছে না।
বন্যা পরিস্থিতির অবনতির কারণে অসহায় মানুষ যখন পানিবন্দী অবস্থায় জীবন যাপন করছেন, তখন সমাজের বিত্তবানদের বন্যার্ত মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসা মানবিক দায়িত্ব। বানভাসি মানুষের কষ্ট লাঘবে টাকাপয়সা, খাদ্য, বস্ত্র, পানি, ওষুধসহ যার যা কিছু আছে তা নিয়েই স্বতঃস্ফূর্তভাবে বন্যাদুর্গতদের সাহায্যে এগিয়ে আসার এখনই সময়। বন্যাকবলিত অ লের অসহায় বানভাসি মানুষ কতটা দুঃখ-কষ্টের মধ্যে পড়েছেন তা সহজেই অনুমেয়। অসহায়-বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়ানোও অনেক সওয়াবের কাজ। এটা অন্যতম একটি ইবাদতও বটে। পবিত্র কুরআন কারিমে এরশাদ হয়েছে-‘তারা আল্লাহর সন্তুষ্টি তথা তার আহবানে সাড়া দিয়ে দরিদ্র, এতিম ও বন্দিদের খাদ্য দান করে’। (সূরা দাহর : ৮)।
আল্লাহ আরও এরশাদ করেন-‘তাদের (বিত্তশালী) ধনসম্পদে অভাবগ্রস্তও বি তদের অধিকার রয়েছে। (সূরা জারিয়াত : ১৯)। রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন- যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের দুঃখ-কষ্ট ও বিপদ দূর করবে, আল্লাহ কেয়ামতের দিন তার দুঃখ-কষ্ট ও বিপদ দূর করে দেবেন। (বোখারি : ২৪৪২)।
রাসূল (সা.) বলেছেন-‘বান্দা যতক্ষণ তার ভাইকে সাহায্য করে, আল্লাহ ততোক্ষণ বান্দাকে সাহায্য করে থাকেন’। (মুসলিম : ২৩১৪)। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন-‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দুনিয়াতে মানুষকে খাদ্য দান করেছে, কেয়ামতের দিন তাকে খাদ্য দান করা হবে। যে আল্লাহকে খুশি করার জন্য মানুষকে পানি পান করিয়েছে, তাকে কেয়ামতের দিন পানি পান করানো হবে’। (আবু দাউদ : ১৩৪৬)। হজরত রাসুল (সা.) এরশাদ করেন-‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তার প্রতি দয়া করেন,যে তার বান্দাদের প্রতি দয়া করে’। (বোখারি : ১৭৩২)।
রাসূলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন-‘অসুস্থ লোকের সেবা করো, ক্ষুধার্তকে অন্ন দাও এবং বন্দিকে মুক্ত করো। (বোখারি : ৫৬৪৯)। হজরত রাসূল (সা.) আরো বলেন-যে ব্যক্তি দুনিয়াতে অপরের একটি প্রয়োজন মিটিয়ে দেবে, পরকালে আল্লাহ তার ১০০ প্রয়োজন পূরণ করে দেবেন এবং বান্দার দুঃখ-দুর্দশায় কেউ সহযোগিতার হাত বাড়ালে আল্লাহ তার প্রতি করুণার দৃষ্টি দেন’। (মুসলিম : ২৫৬৬)।
রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও এরশাদ করেন, মোমিনরা পারস্পরিক ভালোবাসা ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে এক দেহের মতো। দেহের কোনো অঙ্গ আঘাতপ্রাপ্ত হলে পুরো দেহ সে ব্যথা অনুভব করে’। (বোখারি : ৬০১১)। পরিশেষে বলা যায় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুহূর্তে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো দলমত-নির্বিশেষে সব শ্রেণি পেশার মানুষের নৈতিক দায়িত্ব।

ভারী বর্ষণ ও অতিবৃষ্টির সময় পড়ার সুন্নত দোয়া: হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) অধিক বৃষ্টি ও ভারী বর্ষণের সময় এই দোয়া পড়তেন, হে আল্লাহ! এই ঝড়, তুফান ও ভারী বর্ষণ আমাদের আশপাশ থেকে সরিয়ে নিন, দয়া করে আমাদের ওপর ঝড়, তুফান ও ভারী বর্ষণ দেবেন না। হে আল্লাহ, এই ভারী বর্ষণ দিন টিলা-পর্বতে, উঁচু ভূমিতে, উপত্যকায়, বনভূমি ও চারণ ভূমিতে। (বুখারি শরিফ ও মুসলিম শরিফ)।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com