ফেনীতে বন্যাপীড়িত মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী উপহার ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম। গত শনিবার (২৪ আগস্ট) ফেনী সরকারি কলেজ ও ফেনী ফালাহিয়া মাদ্রাসা আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেন এবং সেখানে অবস্থানরত মানুষের সাথে কুশলাদি বিনিময়, শুকনো খাবার উপহার প্রদান করেন। এ সময় আশেপাশের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাও ঘুরে ঘুরে দেখেন তিনি।
ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমরা প্রতিটি উপজেলায় সাধ্যমতো সাহায্যের হাত বাড়িয়েছি এবং ভবিষ্যতেও এসব কার্যক্রম অব্যাহত রাখব। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে মানুষের পাশে দাঁড়ানো।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘‘প্রতিবেশী দেশের পানি আগ্রাসনের ফলে আমাদের দেশের এই অঞ্চলে ইতিহাসের ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। স্বৈরাচার হাসিনার পতনের পর প্রতিবেশী রাষ্ট্রের এই ধরনের আগ্রাসন জনমনে এই ধারণা সৃষ্টি করেছে যে, তাদের হাতের পুতুল হাসিনার পতনের প্রতিশোধ নিতেই এ ধরনের ন্যক্কারজনক পদক্ষেপ নিয়েছে।”
সম্প্রতি অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যার ফলে বিপর্যস্ত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ছাত্রশিবির সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। ফেনী শহর ও জেলা শাখার উদ্যোগে প্লাবিত পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কার্যক্রমের আওতায় বিভিন্ন এলাকায় খাদ্যসামগ্রী, জরুরী চিকিৎসা সেবা ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ছাড়াও জরুরি সেবা প্রদানের জন্য হটলাইন সেবা চালু করা হয়েছে।
এ ছাড়াও, ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য বিশেষ প্যাকেজ প্রস্তুত করা হয়েছে, যাতে তারা দ্রুত পুনর্বাসিত হতে পারে। এ কার্যক্রমে ছাত্রশিবিরের স্বেচ্ছাসেবকরা দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে সহায়তা প্রদান করছেন। কেন্দ্রীয় সভাপতি বলেন, ‘‘আমাদের এই কার্যক্রম এই ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত নয়। আমরা বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। সাধ্যের আলোকে আমাদের এ উদ্যোগ বন্যাদুর্গতদের সমস্যা কিছুটা হলেও কমাতে সহায়ক হবে বলে আশাবাদী।” স্থানীয় জনগণ এবং প্রশাসন ছাত্রশিবিরের এ সহায়তার জন্য তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।