নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বন্যার পানির তীব্র চাপে ভেঙে তলিয়ে গেলো মুছাপুর ক্লোজার। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে। সোমবার আনুমানিক সকাল ১০ ঘটিকায় এমন ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ভারতের উজানের ফলে ফেনী মুহুরী নদীর পানি ও ভারী বর্ষণে কোম্পানীগঞ্জের পানি মুছাপুর স্লুইসগেটের রেগুলেটরের ২৩টি গেট দিয়ে বঙ্গোপসাগরে পানি যায়। সোমবার সকাল অনুমানিক ১০ ঘটিকায় পানির তীব্র চাপে ভেঙে যায় রেগুলেটরটি ব্রিজসহ ভেঙ্গে পড়ে পানিতে তলিয়ে যায়। স্থায়ীন বাসিন্দারা জানান, পানির তীব্র চাপ সহ্য করতে না পেরে রেগুলেটরটি ভেঙে গেছে। বাসিন্দারা দুঃখ করে বলছে আমাদের মুছাপুর ক্লোজার শেষ এখন অনেকটা বন্যা পানির ভয়ে অসহায় লাগছে। ছেলে মেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে কোথায় যাবো এমনটা ভাবছে গ্রামবাসী। জোয়ার হলে এখন পুরো কোম্পানীগঞ্জ ভেসে যাবে বলে আশংকা করছে গ্রামের বাসিন্দা।পানি উন্নয়ন বোর্ড নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সী আমির ফয়সাল বিষয়টি নিশ্চিত বলেন আমরা বিষয়টি জেনেছি। এখানে রেগুলেটরের ২৩টি গেট দিয়ে প্রচুর পানি নেমেছে। যদি গেটগুলো আগে খোলা না হতো তাহলে আগেই ভেঙে যেত। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি রেগুলেটর ভাঙ্গার বিষয়টি। এদিকে নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী বলেন, মুছাপুর রেগুলেটরটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ইঞ্জিনিয়ারগণের কাজের সুবিধার্থে রেগুলেটর সংলগ্ন এলাকায় ভিড় না করার জন্য সবিনয় অনুরোধ করছি। সর্বশেষ তথ্য মতে ক্লোজার ভাঙ্গার আতংকের ফলে ক্লোজারের আশপাশের গ্রামের মানুষ জন ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করছে। মুছাপুরের রেগুলেটর সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের নিকটস্থ আশ্রয়কেন্দ্র গুলোতে চলে আসার জন্য অনুরোধ করেছেন এবং সবগুলো আশ্রয়কেন্দ্র খোলা আছে বলে জানিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী।