টঙ্গীতে বিভিন্ন গার্মেন্টসে বহিরাগতদের হামলা-ভাংচুর, ১১টিতে ছুটি ঘোষণা
গাজীপুরে চাকরিতে পুরুষ শ্রমিকদের অগ্রাধিকার দাবিতে বিভিন্ন গার্মেন্টস কারখানায় হামলা চালিয়েছে বহিরাগতরা। মহানগরের টঙ্গী বিসিক শিল্প এলাকায় সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিক্ষোভ শুরু করে কথিত চাকরিপ্রার্থীরা। এ সময় তারা ১১টি পোশাক কারখানায় ভাংচুর চালায়।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কারখানাগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়। অথচ এসব কারখানায় কোনো শ্রমিক অসন্তোষ নেই।
এর আগে, গত শনিবার নগরীর কুনিয়া তারগাছ এলাকায় একই দাবিতে অনন্ত গার্মেন্ট কারখানায় হামলা চালায় বহিরাগতরা। এটিকে প্রতিবিপ্লবের ষড়যন্ত্র বলেও মনে করছেন অনেকে।
জানা যায়, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রায় তিন শতাধিক কথিত বেকার যুবক কয়েক ধাপে ১১টি পোশাক কারখানার গেটে অবস্থান নেয়। পরে কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদেরকে বের হয়ে এসে তাদের সাথে আন্দোলনে যোগ দিতে আহ্বান জানায়। কিন্তু কারখানায় কর্মরত শ্রমিকরা সাড়া না দেয়ায় বহিরাগত কথিত শ্রমিকরা হামলা চালায়। এসময় কারখানায় কর্মরত শ্রমিকরা প্রতিরোধের চেষ্টা করলে তাদের সাথে বহিরাগতদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। কথিত চাকরিপ্রার্থীরা এসময় ১১টি কারখানায় ভাংচুর চালায়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ওই ১১টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করে স্ব স্ব কর্তৃপক্ষ। ছুটি ঘোষণা করা হয়, টঙ্গীর বসিকি এলাকার টসি নিট ফেব্রিক্স লিমিটেডে, ন্যাশনাল কম্পোজিট লিমিটেড, পেট্রিয়ট ইকো এ্যাপারেলস লিমিটেড, বেলিসিমা এ্যাপারল্সে লিমিটেড, জিন্স অ্যান্ড পোলো লিমিটেড, টেঙ্গন গার্মেন্টস লিমিটেড, রেডিসন গার্মেন্টস লিমিটেড, সুমি এ্যাপারলেস লিমিটেড, আরবিএস গার্মেন্টস লিমিটেড, গার্ডেন টেক্সটাইল লিমিটেড ও তাজকিয়া এ্যাপারলেস লিমিটেড। বেলা দুইটার দিকে কারখানাগুলোতে ছুটি ঘোষণা করা হলে বহিরাগতরা টঙ্গী বিসিক পানির ট্যাঙ্কি এলাকার শাখা সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। এসময় তারা টঙ্গী বিসিক এলাকার শাখা সড়কে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। আন্দোলনরত বহিরাগত মো: রনি বলেন, কারখানাগুলোতে
নিয়োগের ক্ষেত্রে নারী শ্রমিকদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়। আজ চাকরিতে থাকা শ্রমিকরা আমাদের সাথে যোগ দেয়নি। আমরা সড়কে বসে আছি। আমাদের দাবি না মেনে নিলে কোনো গার্মেন্টসে শ্রমিকদের ঢুকতে দেয়া হবে না।
তাজকয়িা অ্যাপারলেস লিমিটেডে কারখানার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (মানবসম্পদ) হেমায়েত উদ্দনি বলেন, সকালে বহিরাগতরা কারখানার সামনে জড়ো হয়ে কারখানার প্রধান ফটকে ভাংচুর চালায়। ভাঙচুর ও ক্ষতি এড়াতে কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছি। গাজীপুর শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোশারফ হোসেন বলেন, চাকরিতে বৈষম্য ও পুরুষ শ্রমিকদের নিয়োগে অগ্রাধিকারের দাবি জানিয়ে কয়েক শ’ চাকরিচ্যুত শ্রমিক ১১টি কারখানায় ভাংচুর চালায়। পরে বিক্ষুদ্ধরা টঙ্গি বিসিকের একটি সড়কে কিছুক্ষণ অবস্থান নিয়ে চলে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।