খুব কাছে গিয়েও পাকিস্তানকে ছোঁয়া হলো না বাংলাদেশের। মাত্র ১২ রানের ব্যবধানে ভাঙা হলে না লিড। তবে এতদূর যে এসেছে তাই কম কিসে! ২৬ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর আড়াই শতাধিক রান তোলা নিশ্চয়ই সহজলভ্য নয়। শেষ হলো বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে টাইগাররা থেমেছে ৭৮.৪ ওভারে ২৬২ রানে। যেখানে স্বাগতিক পাকিস্তান আগে ব্যাট করে পুঁজি পেয়েছিল ২৭৪ রানের।
লিটন-মিরাজের রেকর্ড গড়া অবিশ্বাস্য জুটিতে অবশ্য লিড ভাঙার পথেই ছিল বাংলাদেশ। তবে আগা সালমান ৩ বলের মাঝে ২ উইকেট নিয়ে শেষ টানেন বাংলাদেশের ইনিংসের। ওভারের দ্বিতীয় বলে ফেরেন লিটন, ২২৮ বলে ১৩৮ রান করে শেষ হয় তার অবিস্মরণীয় ইনিংস।
বিনা উইকেটে ১০ রান নিয়ে রোববার তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। নতুন দিনে ১৬ রান যোগ করতেই হারায় ৬ উইকেট। শঙ্কা দেখা দেয় নিজেদের টেস্ট ইতিহাসের সর্বনি¤œ রানে গুটিয়ে যাওয়ার।
দিনের তৃতীয় ওভারেই হয়তো পাকিস্তান পেয়ে যেত উইকেটের দেখা। যদি না আবরার ক্যাচ মিস করতেন। তবে অপেক্ষা করতে হয়নি, ষষ্ঠ ওভারেই জাকির হাসানকে (১) ফিরিয়ে ১৪ রানের মাথায় উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন শাহজাদ। এক ওভার পর একই পথের যাত্রী হন সাদমান, ১০ রান আসে তার ব্যাটে। একই ওভারে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর (৪) স্ট্যাম্পও ভেঙে দেন শাহজাদ। ২ বল পর মুমিনুল হককে হামজা ফেরালে ২০ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
তখনও ভরসা হয়ে ছিলেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। তবে ১০.৩ ওভারে মুশফিককেও ফেরান হামজা। আগের ম্যাচে ১৯১ রানের ইনিংস খেলা মুশফিক ফেরেন ৩ রানে। পরের ওভারে সাকিবকেও সাজঘর দেখান শাহজাদ। ২ রান করেন সাকিব।
২৬ রানে ৬ উইকেট হারানো দলকে টানতে থাকেন লিটন দাস ও মেহেদী মিরাজ। শুরুটা দেখেশুনে হলেও বেশ দারুণ খেলছেন দু’জনে। জুটিটাও জমে উঠে বেশ। ধীরে ধীরে একটা সময় চড়াও হয়ে উঠেন দু’জনে। উভয়েই তুলে নেন ফিফটি। এগুতে থাকেন শতকের দিকে।
তবে ৫১.৫ ওভারে এসে মিরাজের বিদায়ে ভাঙে ২৪৫ বলে ১৬৫ রানের জুটি। ১৪৭ বছরের টেস্ট ইতিহাসে ৫০ রানের কমে ৬ উইকেট হারানোর পর সপ্তম উইকেটের সবচেয়ে বড় জুটিটা এখন তাদেরই। পেছনে ফেলেছেন রাজ্জাক-কামরানের ১১৫ রানের জুটি।
এই রেকর্ড জুটি ভেঙে ১৯১ রানের মাথায় মেহেদী মিরাজ ফিরলেও লিটন দাস হাল ছাড়েননি। তাসকিন দ্রুত ফিরে গেলেও হাসান মাহমুদকে নিয়ে ১৭১ বলে তুলে নেন টেস্টে নিজের ষষ্ঠ শতক। হাসানের সাথে মিলে যোগ করেন ১৫০ বলে আরো ৬৯ রান।
এরপর লিটন দাস ফিরে গেলেও হাসান মাহমুদ অপরাজিত ছিলেন ৫১ বলে ১৩ রানে। ৯০ রানে ৬ উইকেট নেন খুররম শাহজাদ। ২টি করে উইকেট নেন মীর হামজা ও আগা সালমান।