বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলির ঘটনায় সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানসহ চার এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সম্পাদক সহ মোট ৯৯ জনকে আসামি করে সুনামগঞ্জে মামলা দায়ের হয়েছে। রোববার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সুনামগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নির্জন কুমার মিত্র’র আদালতে দ্রুত বিচার আইনে মামলাটি দায়ের করেছেন জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের এরোয়াখাই গ্রামের মো.হাফিজ আহমদ। তিনি ঐ গ্রামের মো. নাজির আহমদের ছেলে। মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুটকে। অন্যান্য আসামীরা হলেন, সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ও সুনামগঞ্জ ৩ আসনের এমপি এমএ মান্নান, সুনামগঞ্জ ৫ আসনের সাবেক এমপি মুহিবুর রহমান মানিক, সুনামগঞ্জ ১ আসনের সাবেক এমপি অ্যাড. রনজিত সরকার ও মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন, সুনামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র নাদের বখত, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা চপল, জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম শামিম, সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস এবং সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার সাবেক ওসি খালেদ চৌধুরীসহ ৯৯জন। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৪ আগস্ট সুনামগঞ্জ শহরের পুরাতন বাস স্টেশনে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সসস্ত্র সন্ত্রাসীরা বাদীর ভাই জহুর আলী ও রিপন মিয়া কে গুলি করে রামদা দিয়ে কুপিয়ে পেট্টলবোমা ও ককটেল ফাটিয়ে বিনা উসকানীতে গুরুতর আহত করেছেন। তারা কেউবা স্বশরীরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন, কেউবা হুকুম দিয়েছেন। আহতরা হাসপাতালেও আওয়ামী চিকিৎসকগণের অসযোগিতায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হন। এসব ঘটনা সংশ্লিষ্ট এলাকার সিসি টিভির ভিডিও ফুটেজে সংরক্ষিত রয়েছে। মামলা দায়েরকারী মো. হাফিজ আহমদ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করেছেন। বাদীপক্ষে মো. মোশাহিদ আলীসহ বিপুল সংখ্যক আইনজীবী ছিলেন। আইনজীবী মাসুক আলম ও আব্দুল হক বলেন, গেল ৪ আগস্ট সুনামগঞ্জে মিছিল করার সময় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের নির্দেশে আক্রমণ করা হয়েছে। এসময় পুলিশও হামলা করেছে। এই ঘটনার জন্য আজকে আমরা দ্রুত বিচার আইনে আদালতে মামলা দায়ের করেছি। আশা করি আদালত মামলা রুজুর জন্য আদেশ দেবেন।