থেমে গেলেন মঈন আলি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের শেষ টানলেন তিনি। থ্রি লায়ন্সদের জার্সি গায়ে আর কখনোই দেখা যাবে না তাকে। ৩৭ বছর বয়সেই বিদায় বলে দিলেন জাতীয় দলকে।
শনিবার ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মঈন আলি নিজেই অবসরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ইংলিশ ক্রিকেটে তার অধ্যায় শেষ, এখন পরবর্তী প্রজন্মের সময়।
নিজের অবসর নিয়ে মঈন বলেন, ‘আমার বয়স ৩৭ বছর। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে সুযোগ পাইনি। ইংল্যান্ডের হয়ে অনেক ক্রিকেট খেলেছি। এখন পরের প্রজন্মের সময়, এটা আমাকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আমার অধ্যায় শেষ।’
ইংল্যান্ডের হয়ে ৬৮টি টেস্ট, ১৩৮টি ওয়ানডে ও ৯২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মইন ছিলেন থ্রি লায়ন্সদের জার্সি গায়ে। সব ফরম্যাট মিলিয়ে ২৮টি অর্ধশয়ক ও আটটি শতকসহ রান ৬ হাজার ৬৭৮। ঝুলিতে আছে ৩৬৬টি উইকেটও।
সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেও মঈন আলি টেস্ট ছেড়েছেন আরো আগেই। তবে সাদা বলের ক্রিকেটে ছিলেন দাপুটে। শেষ তিনটা বৈশ্বিক আসরে ছিলেন ইংল্যান্ডের সহ অধিনায়কও।
তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থতার জেরে আমূল পরিবর্তনের অংশ হিসেবে চাপে পড়ে যান মইন আলি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সাদা বলের সিরিজে ইংল্যান্ড দলে জায়গা হয়নি তার। দল থেকে বাদ পড়ায় একেবারেই থেমে গেলেন মঈন।
অবশ্য সাম্প্রতিক সময়টা ভালো যাচ্ছিল না তার। বিশেষ করে ব্যাট হাতে। ওয়ানডেতে বড় ইনিংস নেই দীর্ঘদিন। সর্বশেষ ফিফটি এসেছে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে। এরপর ১৩ ইনিংসে তার সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান ৪২।
তাছাড়া টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও সর্বশেষ দুই বছরে ২১ ইনিংস খেলেও নেই প াশছোঁয়া কোনো ইনিংস। সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেছিলেন ২০২২ সালের অক্টোবরে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। এরপর আর কখনো ৩০ রানও করতে পারেননি।
সব মিলিয়ে নিজের অবস্থা বেশ ভালোই বুঝতে পারছিলেন মঈন। তাছাড়া বয়সও আর কথা বলছেনা তার পক্ষে। সবকিছু বিবেচনায় তিনি বলেন, ‘আঁকড়ে ধরে থাকতে পারতাম, আবার ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার চেষ্টা করতে পারতাম। কিন্তু আমি বাস্তবতা জানি, তাই চেষ্টা করব না।’
আপাতত ফ্রা াইজি ক্রিকেট নিয়েই ব্যস্ত থাকতে চান বলে জানান মইন। তবে পরে কোচিংয়ে আসারও ইচ্ছে আছে তার। মঈন বলেন, ‘ফ্র্যা াইজি ক্রিকেট চালিয়ে যেতে চাই, এখনো খেলাধুলা ভালোবাসি। কোচিংয়ে আসতে চাই। এখানে অন্যতম সেরা হতে চাই।’