বিবাহ কিন্তু কোনো সাধারণ বিষয় নয়, বিয়ের পর সংসার টিকিয়ে রাখতে দু’জনেরই অবদান রাখা জরুরি। তবে পুরুষদের এ বিষয়ে একটু বেশিই অবদান রাখতে হয়। কারণ বেশিরভাগ নারীই মুখ ফুটে স্বামীর কাছে কিছু চান না।
তাই স্বামীরই উচিত স্ত্রীর না বলা কথা বুছে নিয়ে তাদের চাহিদা পূরণ করা। বিয়ের পর নারীরা স্বামীর কাছে কয়েকটি জিনিস গোপনে আশা করেন। তবে মুখ ফুটে বলেন না। চলুন জেনে নেওয়া যাক কী কী-
স্ত্রীর বাবা-মাকে সম্মান করুন
স্ত্রী সব সময়ই চাইবেন যেন আপনি তার বাবা-মাকে সম্মান করুন। তবে তিনি মুখ ফুটে আপনাকে এই কথাটা বলবেন না। তাই বিয়ের পর থেকে স্ত্রীর বাবা-মাকে সম্মান করুন। তাদেরকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিন।
সব সময় তাদের প্রশংসা করুন। এতেই দেখবেন স্ত্রী আপনার প্রতি অনেক খুশি ও কৃতজ্ঞ থাকবেন। আর আপনার বাবা-মার সঙ্গেও সর্বদা ভালো ব্যবহার ও সম্মান প্রদর্শন করবেন।
স্ত্রীকে সময় দিন
বিয়ের প্রথম বছর প্রৎেয়ক স্ত্রী তার সঙ্গীর কাছে কিছুটা সময় দাবি করেন। তাই চার হাত এক হওয়ার পর আর বেশি সময় অফিসে বসে কাটাবেন না। বরং দ্রুত কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরে আসুন। আর স্ত্রীর সঙ্গে হেসে-খেলে বেশি সময় কাটান। দিনে মাত্র ১ ঘণ্টাও যদি আপনি তাকে দিতে পারেন, তাহলেই স্ত্রী খুশি হবেন ও আপনাকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দেবেন। আর আপনাদের দাম্পত্য হবে সুখময়।
উপহার দিন
উপহার পেতে কার না ভালো লাগে। আপনার স্ত্রীও নিশ্চয়ই এই তালিকার বাইরে নন। তাই হাতে কিছুটা বাড়তি টাকা থাকলে তা দিয়ে স্ত্রীকে নিজের সাধ্যমতো গিফট কিনে দিন।
তেমন হলে, অফিস থেকে ফেরার সময় একটা গোলাপ কিনে ফিরুন। এই কাজ করলেই দেখবেন অর্ধাঙ্গীনির চোখের কোণে আনন্দাশ্রু আসবে ও আপনাকে আরও ভালোবাসবেন।
প্রশংসা করুন
স্ত্রী মনে মনে স্বামীর মুখ থেকে সর্বদা প্রশংসাসূচক কথা শুনতে পছন্দ করেন। যদি স্বামী এ কাজ না করেন তাহলে স্ত্রী মুখ ফুটে তা না জানালেও মনে মনে ক্ষুব্ধ হন। তাই পুরুষদের উচিত প্রতিদিন স্ত্রীর প্রশংসা করা।
সময় পেলেই বেরিয়ে পড়ুন
নারীরা ঘুরতে খুবই পছন্দ করেন। তাই বিয়ের পর থেকে সময়-সুযোগ পেলেই স্ত্রীকে নিয়ে বেড়িয়ে পড়ুন ঘুরতে। এমনকি সাপ্তাহিত ছুটিতেও স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরে আসুন কাছেপিঠে কোথাও থেকে। তাহলেই দেখবেন আপনাদের সম্পর্কের ভিত আরও মজবুত হবে।