পাবনায় আদালতের আদেশ ১৪৪ ধারা অমান্য করে পাকা স্থাপনা তৈরীর অভিযোগ উঠছে। শুধু তাই না, বাধা দিতে গেলে বাড়িঘর ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাবনা থানা পুলিশ আদালতের ১৪৪ ধারার আদেশ পেয়ে, ঘটনাস্থলে গিয়ে বিবাদীকে নিষেধ করার পরেও কাজ চলমান রয়েছে। এদিকে ক্ষতিগ্রস্থ ওবায়দুল তার বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও হত্যা চেষ্টার লিখিত অভিযোগ থানায় দিলেও তা এজাহার হিসাবে গন্য করেনি, পাবনা থানা পুলিশ। তবে হুমকি দানের বিষয়ে একটি জিডি এন্ট্রি করেছে থানা কর্তৃপক্ষ। থানার অভিযোগের কপি, আদালতের আদেশ ও সরোজমিন ঘুরে জানা যায়, পাবনা সদর উপজেলার পৌর দক্ষিন রাঘবপুর বিএস খতিয়ান ৭৫২ তে ২৭৫২ ও ২৭৫৩ দাগে ওবায়দুল্লাহর নিজ নামে জমির উপর তার আপন ভাই আব্দুল্লাহ আল মাসুদ গং জোর পুর্বক জমি দখলের চেস্টা করে। এ ব্যাপারে ওবায়দুল্লাহ বাদী হয়ে পাবনার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ১নং আদালতে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৫৬৭/২০২৪। এই মামলা দায়েরের পর আদালত ওই জমির উপর ১৪৪ ধারা জারী করেন। জারিকৃত ১৪৪ ধারা কার্যকর করতে পাবনা থানার ওসি ইনচার্য বরাবর নির্দেশ দেন আদালত। পাবনা থানার ওসি ইনচার্য রওশন আলী আদেশটি তামিল করতে পাবনা সদর ফাঁড়ির এএসআই মানিককে দায়িত্ব দেন। এএসআই মানিক ঘটনাস্থলে গিয়ে বিবাদী আব্দুল্লাহ আল মাসুদ গং কে শান্তি শৃংখলা রক্ষার্থে আদালতের আদেশ জানিয়ে আসেন। আদালতের আদেশ পাওয়ার পর আব্দুল্লাহ আল মাসুদ গং ক্ষিপ্ত হয়ে ওবাদুল্লাহর বাড়িঘর ভাংচুর করে।
পরবর্তিতে ওবায়দুল্লাহ পাবনা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়েরের জন্য ৩জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৭জনকে আসামী করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পাবনা সদর থানার ওসি রওশন আলী লিখিত অভিযোগ না নিয়ে একটি সাধারন ডায়েরী করেন। যার নং-৪১১, তাং-০৬-০৮-২০২৪ইং। এরপর থেকে বিবাদীগণ আরো ক্ষিপ্ত হয়ে আদালতের আদেশ অমান্য করে বাদী ওবায়দুল্লাহর বাড়ি-ঘর ভাংচুরসহ আদালতের নিষেধাজ্ঞার যায়গার উপর পাকা স্থাপনা তৈরীর কাজ শুরু করেন। এরপর থেকে ওবায়দুল্লাহকে মামলা তুলে নিতে বিবাদী আব্দুল্লাহ আল মাসুদ গং ভয়-ভিতি ও চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। এদিকে জিডি তদন্তের কর্মকর্তা পাবনা সদর থানার এএসআই সোলাইমান জানান, জিডির কপি হাতে পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে তদন্তে যায়। সেখানে গিয়ে বাড়ির জানালাসহ কিছু কিছু যায়গায় ভাংচুরের ঘটনা চোখে পড়েছে। ভাংচুর ও হুমকির বিষয়ে অভিযোগ না নিয়ে জিডি গ্রহনের বিষয়ে জানতে চাইলে, পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকমর্তা ওসি ইনচার্জ রওশন আলী জানান, ওবায়দুল্লাহ এসপি স্যারের কাছে গিয়েছিল। স্যারের নির্দেশে জিডি এন্ট্রি করা হয়েছে। ১৪৪ ধারা কার্যকর না হওয়ার কারন জানতে চাইলে ওসি আরো জানান, আমাদের পক্ষ থেকে বাদী-বিবাদীদের জানানো হয়েছে। বিবাদীরা যদি ১৪৪ ধারা না মানে তাহলে কি আমরা সেখানে পুলিশ ক্যাম্প বসাবো? আপনারা বিষয়টি আদালতে অবহিত করেন। আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও কেন পাকা স্থাপনা তৈরী করছেন জানতে চাইলে বিবাদী আব্দুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, আমি আইনজীবির পরামর্শ নিয়ে নির্মান কাজ শুরু করেছি। উল্লেখ্য বাদী ওবায়দুল্লাহর দেওয়া কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের একাধিক শালিসে তার পক্ষে রায় রয়েছে। তারপরেও বিবাদী আব্দুল্লাহ আল মাসুদ গং পাকা স্থাপনা তৈরীর কাজ অব্যাহত রেখেছেন।