বন অপরাধ দমনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব না দিলে মহেশখালীর ভবিষ্যত অন্ধকার তথা বিলীন হয়ে যাবে। যেভাবে পাহাড়ি গাছ কর্তন, মাঠি কাটা, বাড়ী ঘর নির্মাণে প্রতিযোগীতায় নেমেছে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। তবে ওইসব সিন্ডিকেটের সাথে বনবিভাগের কর্মকর্তাদের আততের অভিযোগ অহরহ। কক্সবাজার মহেশখালী পাহাড় থেকে গর্জনগাছ পাচারকালে বদরখালীতে বৈষষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গাছভর্তি গাড়ী জব্দ করা হয়। এ ঘটনাটি ঘটেছে ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুর ৪টা দিকে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ থেকে পাচারকালে বদরখালীতে গাড়ীভর্তি গর্জনগাছ জব্দকৃত গাড়ীভর্তি গাছগুলি উপজেলার দিনেশপুর, মুদিরছড়া ও কালারমারছড়া এলাকা থেকে পাচার হচ্ছে বলে জানাগেছে। গত ৫ আগস্টে সরকার পতনের পর থেকে গাছপাচার, পাহাড় কাটা ও ১২নং বনবিভাগের জায়গা অবৈধভাবে ঘর নির্মাণের প্রতিযোগিতায় নেমেছে অবৈধ দখলদার, পাহাড় খেকু সিন্ডিকেটরা। তবে এইসব কর্মের সাথে অসাধু বনকর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নিয়োজিত রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন অপকর্মে রেঞ্জ কর্মকর্তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন সচেতনমহল। মহেশখালীর বনবিভাগের সূত্র জানা যায়, গাছগুলি কোন বিটের আওয়াতাধীন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে সরকার পতনের পর অপরাধী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে যৌথ বাহিনীর সহযোগিতা প্রয়োজন।