অপেক্ষা করছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন নবান্নের দুয়ারে চলে এসেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। শেষ পর্যন্ত লাইভ স্ট্রিমিং না হওয়ায় বৈঠক হল না। বার বার জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা। কিন্তু সুরাহা মেলেনি। নবান্নের তরফে বার বার আলোচনার টেবিলে ডেকেও লাভ হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মনে করিয়ে দিয়ে ফের চিকিৎসকদের কাজে যোগ দেওয়ার কথা বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ওরা কাজে যোগ দিন। আমি জানি, অনেকে আলোচনায় রাজি ছিলেন। দু-একজনের জন্য বৈঠক হচ্ছে না, বাইরে থেকে তাদের কাছে নির্দেশ আসছে। প্রথমদিন থেকে চেষ্টা করেছি, পশ্চিমবঙ্গের জনগণ আমায় ক্ষমা করবেন। আমাদের অনেক অসম্মান করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ জানতেন না এর মধ্যে রং আছে। মানুষ এসেছিলেন বিচার চাইতে তিলোত্তমার। আশা করি মানুষ বুঝতে পারছেন ওরা বিচার চায় না, চায় চেয়ার।’
লাইভ স্ট্রিমিংয়ে কী সমস্যা ছিল তা জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘২ ঘণ্টা ১০ মিনিট অপেক্ষা করছিলাম, ভেবেছিলাম ডাক্তার ভাইবোনেদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। আমরা বলেছিলাম, খোলা মনে আলোচনায় আসুন। টেলিকাস্টের ব্যাপারে ওপেন মাইন্ডেড আমরা। কিন্তু বিচারাধীন বিষয়ে কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হয়। সুপ্রিম কোর্টের মামলা নিয়ে যদি আমরা হঠাৎ করে টেলিকাস্ট করি, কেউ যদি হঠাৎ কোনও মন্তব্য করেন যা আগে প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে মন্তব্যের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে তাহলে আমার কি দায়বদ্ধতা থাকবে না? আমাদের অফিসারদের কি দায়বদ্ধতা থাকবে না? আমরা এমন কিছু করতে চাইনি যাতে অচলাবস্থা দূর না হয়।’
এই মুহূর্তে রাজ্য প্রশাসনের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির পথ থেকে সরিয়ে চিকিৎসা পরিষেবায় ফিরিয়ে আনে। আর সেই কাজ কতটা কঠিন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা বোঝা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অপেক্ষার পরও খোলা মনে আলোচনার রাস্তায় আন্দোলনকারীরা না হাঁটায় কার্যত হতাশ মুখ্যমন্ত্রী। তার মতে, চাইলে তিনি পদত্যাগ করতে রাজি, কিন্তু সবচেয়ে জরুরি বিচার পাওয়া। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মানুষের স্বার্থে পদত্যাগ করতে রাজি আছি। আমার মুখ্যমন্ত্রীর পদ চাই না। আমি চাই তিলোত্তমার বিচার পাক। সাধারণ মানুষ চিকিৎসা পাক।