শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
জব্দ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর রিট আরেক হত্যা মামলায় সাবেক বিচারপতি মানিককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে মানহানির মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান উৎপাদনে ফিরলো কর্ণফুলী পেপার মিল ২০৫০ সালের মধ্যে ৪ কোটি মানুষের মৃত্যু হবে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সংক্রমণে দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে থাকছেন শেখ হাসিনা, দলবল নিয়ে ঘুরছেন পার্কে পিআইবির নতুন ডিজি ফারুক ওয়াসিফ, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি এম আবদুল্লাহ ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পোশাক শিল্প আইন আপনার হাতে তুলে নেয়ার কারো কোনো অধিকার নেই :স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দেয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বললেন মির্জা ফখরুল

‘ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবে প্রতিটি শ্লোগানই ছিলো অনন্য কবিতা’

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

কবিতা বাংলাদেশ’র রজতজয়ন্তী কবি সম্মেলন 
বৃষ্টি ভেজা সকালে গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন সেমিনার হলে অনুষ্ঠিত হয় কবিতা বাংলাদেশের রজতজয়ন্তী ও কবি সম্মেলন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে বক্তারা বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জনগণকে জাগিয়ে তুলতে কবি ও সংস্কৃতি কর্মীরা দুর্দান্ত সাহস যুগিয়েছেন। বৈষম্যমুক্ত সমৃদ্ধ স্বদেশ নির্মানে কবিতাকে যুক্তি-শক্তি-মুক্তির হাতিয়ার হিসেবে আরো শাণিত করতে হবে। ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবে প্রতিটি শ্লোগানই ছিলো অনন্য কবিতা। কবি কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণার প্রজ্ঞাপন প্রকাশ ও সংবিধানে অন্তর্ভূক্তির আহবান জানানো হয়। আয়োজনের শুরুতেই উৎসব ব্যানারের মোড়ক উন্মোচন করেন বরেণ্য শিক্ষাবিদ ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী। বাংলাদেশের সভাপতি কবি আল মুজাহিদীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দের পরিচালনায় এবারের উৎসবের প্রতিপাদ্য ছিলো “ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত, আমরা আনিব রাঙা প্রভাত।”
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, প্রফেসর ড. মাহমুদ শাহ কোরেশী, প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া, কবি জয়নুল আবেদীন আজাদ, কবি মোশাররফ হোসেন খান, কবি সোলায়মান আহসান, কবি হাসান আলীম, কবি চৌধুরী গোলাম মাওলা, কথাশিল্পী নাজিব ওয়াদুদ, কবি শরীফ আবদুল গোফরান,কবি নাসির হেলাল প্রমূখ।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমি কবি নই তাই কবি সম্মেলনে বড় বেমানান। তবে কবিতাকে ভালবাসি বলেই আপনাদের অনুষ্ঠানে এসেছি। এবারের ছাত্র জনতার আন্দোলনে কবিরা যেভাবে সবাইকে উজ্জীবিত রেখেছেন বলেই গণবিপ্লব সফল হয়েছে। এটাই ইতিহাসে বাংলা রেনেসাঁ হিসেবে বিবেচিত হবে। সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমেই বৈষম্যমুক্ত রাষ্ট্র ও সমাজ গড়ার সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে হবে।
রজতজয়ন্তী উৎসবের দ্বিতীয় পর্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে : “বাংলাদেশের কবিতা: উৎস থেকে অধুনা” শীর্ষক ধারণাপত্র উপস্থাপন করবেন ড. ফজলুল হক তুহিন।
কবি জয়নুল আবেদীন আজাদ এর সভাপতিত্বে সেমিনারে: আলোচনায় অংশ নেন কবি আবদুল হাই শিকদার, কবি সোলায়মান আহসান, কবি হাসান আলীম, কবি সায়ীদ আবুবকর, কবি মুজতাহিদ ফারুকী, কথাশিল্পী নাজিব ওয়াদুদ, কবি শরীফ আবদুল গোফরান, কবি নাসির হেলাল, ড. কামরুল হাসান, ড. মোহাম্মদ হারুন রশিদ, লেখক ও গবেষক ইমরান মাহফুজ প্রমুখ। সেমিনার পর্ব উপস্থাপন করেন মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন।
সম্মেলনের তৃতীয় পর্বে অনুষ্ঠিত হয় কবিকন্ঠে কবিতা পাঠ। এ পর্বে সভাপতিত্ব করেন কবি সাজ্জাদ হোসাইন খান ও কবি আশরাফ আল দীন। এই পর্ব উপস্থাপন করেন কবি নাইম আল ইসলাম মাহিন।
অনুষ্ঠানে সারাদেশ থেকে আগত দুই শতাধিক কবি তাদের স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন।
কবি সম্মেলনের সমাপনী ও কাউন্সিল অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন দেশীয় সাংস্কৃতিক সংসদের আহবায়ক ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ। পরিচালনা করেন দেশীয় সাংস্কৃতিক সংসদের সদস্য সচিব ড. মোস্তফা মনোয়ার। এ পর্বে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি চিন্তক আমীরুল ইসলাম, চারুশিল্পী ইব্রাহীম মন্ডল, বাচিক শিল্পী মাহবুব মুকুল, মুক্তবুলি সম্পাদক আযাদ আলাউদ্দীন প্রমুখ।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com