দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশ লি:(কালব) এর আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের স্থিতিবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেয়া সত্ত্বেও তা মানছেন না কালবের জিএম প্যাট্রিক পালমা। সূত্রমতে, সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালতে সমবায় অধিদপ্তর কর্তৃক দায়েরকৃত সিভিল মিস. পিটিশন ৬৯৮/২০২৪(রিট পিটিশন নং-৯৮৪৪/২০২৪ উদ্ভুত) এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ২১/১০/২০২৪ তারিখ পর্যন্ত আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে স্থিতিবস্থা বজায় আদেশ প্রদান করেন। অর্থাৎ ২১/১০/২০২৪ তারিখে প্রধান বিচাপতির ফুল বেঞ্চে শুনানিত্তোর সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত কালবের ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন বা নগদ আমানত গ্রহন করে ব্যাংক একাউন্টে জমা না দিয়ে খরচ করা যাবে না।
কিন্ত কালবের সূত্র দাবি করছে, কালবের জিএম প্যাট্রিক পালমা সদস্যদের আমানতের টাকা একাউন্টের পরিবর্তে নগদে গ্রহন করছেন। আবার রিসোর্টের দৈনন্দিন আয়ের টাকাও একাউন্টে জমা না দিয়ে নগদ টাকা হাতে রাখছেন এবং কর্মচারিদের বেতন প্রদানসহ অন্যান্য খাতে ব্যয় করছেন।
এ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী আব্দুর রউফ বলেন,উচ্চ আদালতের আর্থিক স্থিতিবস্থা জারি অবস্থায় একাউন্ট থেকে যেমন টাকা উত্তোলন করা যাবেনা তেমনি প্রতিষ্ঠানের আয়ের অর্থ একাউন্টে জমা না করে নগদ হাতে রাখা যাবেনা এবং আদালতের পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে কোন খাতেই ব্যয় করা যাবে না। এর ব্যত্যয় ঘটলে সেটা স্পষ্ট আদালত অবমাননা। আদেশ লংঘনের বিষয়টি সংক্ষুব্ধদের আদালতের নজরে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
এবিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্যে কালবের জিএম প্যাট্রিক পালমার মোবাইলে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেন নি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কালবের বোর্ডের সংখ্যাগরিষ্ঠ তথা ৭ জন সদস্যের পদত্যাগের পরিপ্রেক্ষিতে বোর্ড ভেঙ্গে গেলে সমবায় অধিদপ্তর অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি গঠন করে দেয়। অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির বিরুদ্ধে কালবের একজন ডেলিগেট রিট করলে হাইকোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করে দেন। অত:পর হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে সমবায় অধিদপ্তর সিভিল মিস. পিটিশন দায়ের করলে চেম্বার জজ আদালত বিষয়টি নিস্পত্তির জন্যে প্রধান বিচারপতির ফুল বেঞ্চে প্রেরণ করেন এবং ফুল বেঞ্চের সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত কালবের আর্থিক লেনদেনের উপর স্থিতিবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন।