সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১৪ অপরাহ্ন

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় হত্যার দেড় মাস পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন

পিরোজপুর প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

হত্যার দেড় মাস পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয় পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়ীয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মো: রফিকুল ইসলাম মিঠু ফকিরের। গত ২ সেপ্টেম্বর পিরোজপুর আমলী আদালত-০২ এর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট মোঃ সাদিক আহম্মেদ এর আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে আজ ২৩ সেপ্টেম্বর এ লাশ উত্তোলন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুরের নির্বাহী মেজিস্ট্রেট মোঃ তৌফিক আনোয়ার , ভান্ডারিয়া হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ কামাল হোসেন, ভান্ডারিয়া থানার উপ-পরিদর্শক আবুল বাশার, ভিটাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান খান এনামুল করিম পান্না। মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, ধারকৃত টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে ভান্ডারিয়ার ভিটাবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মো. মোশাররফ ফকিরের ছেলে মিঠু ফকিরসহ বাশার তালুকদার, মো. ছালাম তালুকদার ও হাসিব তালুকদারকে কুপিয়ে আহত করে স্থানীয় জেলা পাড়ার ৩০ থেকে ৪০ জনে একটি দল। প্রথমে তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নেয়া হলে ৬ আগষ্ট রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। ৭ আগষ্ট বিকেলে ময়না তদন্ত ছাড়াই তাকে তার গ্রামের বাড়ী উপজেলা ভিটাবাড়ীয়ায় দাফন করা হয়। সে সময় থানা পুলিশের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ময়না তদন্ত করানো সম্ভব হয়নি বলে জানান তার বোন নাজমা বেগম। নিহতের স্ত্রী মোসা: পলি আক্তার জানান, সে সময় থানায় মামলা করা সম্ভব না হওয়ায় গত ১৬ আগস্ট তিনি বাদী হয়ে ভান্ডারিয়া থানায় ১৫৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন, যার নম্বর- ৪/১২২। মামলাটি পিরোজপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের জি.আর মামলা হিসেবে নথীভুক্ত হয়, যার নম্বর ১২২/ ২৪। গত ২ সেপ্টেম্বর আমলী আদালত-০২ এর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট মোঃ সাদিক আহম্মেদ মিঠুর লাশ উত্তোলন করে তা ময়না তদন্তের নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার এ লাশ উত্তোলন করা হয়।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com