জেলায় বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত আমন ধান চাষীদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে পরামর্শের পাশাপাশি সরকারি সহায়তা প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছে বরগুনা কৃষি বিভাগ।
বরগুনার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. আবু সৈয়দ মো. জোবায়দুল আলম জানিয়েছেন, আশা করছি আমনের আবাদের জন্য যে ১ লাখ হেক্টর জমি নির্ধারণ করা তা অর্জন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। যেহেতু কৃষকেরা আমন নির্ভরশীল, এ অঞ্চলের কৃষকরা শতভাগ আমন ধানের চাষাবাদ করেন। তবে আউশের ক্ষেত্রে বেশকিছু সমস্যা রয়েছে। কারণ আউশের যখন ফুল এসেছে তখন অতি বৃষ্টির কারণে ধানের মধ্যে চিটা ধরছে। যদিও এটা প্রকৃতি নির্ভর, প্রকৃতির বাইরে আমরা কিছুই করতে পারব না। বৃষ্টির কারণে আমাদের এখনে আউশের বেশকিছু ক্ষতি হওয়ার আশংকা রয়েছে।
বরগুনার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর জেলায় ৩৫ হাজার ১৯৪ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে অতিবৃষ্টিতে প্রায় ৩ হাজার ৮০৮ হেক্টর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার মধ্যে ১০৮ হেক্টর জমির ধান সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া আমনের বীজতলা রয়েছে ৮ হাজার ৭০৭ হেক্টর যার মধ্যে প্রায় ৬ হাজর ১২০ হেক্টর বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার ৯০ হেক্টর জমির বীজতলার সম্পূর্ণ ক্ষতি হয়েছে।
বরগুনায় জুলাই মাসের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয়ে টানা আগস্ট মাসের শেষ পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে। টানা দেড় মাসের বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকার ফসলের ক্ষেতে পানি জমে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আউশ ও আমন ধানের বীজতলা। এছাড়া বৃষ্টির পানিতে বারবার বীজতলা নষ্ট হওয়ায় আমন ধানের চারা সংকটে পড়েন এ অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা।
বরগুনার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. আবু সৈয়দ মো. জোবায়দুল আলম জানান, এ বছর বৃষ্টিতে আমাদের প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমির আমনের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত। আমরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে সরকারের পক্ষ থেকে কৃষকদের যে ক্ষতি হয় এর পরের বছর কৃষকদের প্রণোদনামূলক কর্মসূচির আওতায় সার এবং বীজ সহায়তা প্রদান করি। এবার যেহেতু কৃষকদের ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়েছে আশা করছি আগামীতে কৃষকদের সহায়তার পরিমাণ দ্বিগুণ করতে সক্ষম হব।