জীবন ও জীবিকার নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক মৎস্যজীবী দম্পতি। মৎস্যজীবী রাম চরণ দাস ও তাঁর স্ত্রী অনিতা রাণী দাস জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার ভাটিনগর গ্রামের বাসিন্দা। দুপুরে জেলা শহরের হোটেলের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভাটিনগর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি রাম চরণ দাস।
লিখিত বক্তব্যে রাম চরণ দাস বলেন, তাঁর স্ত্রী অনিতা রানী দাসের নামে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে চলতি বছরের ২৪ জুন অষ্টগ্রাম উপজেলার চরদেওঘর ফিসারি বরাদ্দ দেয়া হয়। ভাটিনগর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সে সময়কার সভাপতি ছিলেন অনিতা রাণী দাস। ৬৭৬ একর ১৮ শতাংশ আয়তনের আয়তনের ফিসারিটি বরাদ্দের পর থেকেই বিএনপি ও আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের মদদে একটি মহল তাদেরকে ভয়-ভীতি ও বিভিন্ন ধরণের হুমকি দিয়ে আসছিল। এ পর্যায়ে গত ৩০ জুলাই অষ্টগ্রাম উপজেলার সদরে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাক আহম্মেদ এবং বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনিরের নেতৃত্বে তাদের লোকজন মারধরসহ ব্যাংকের চেকবই ও সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে। সেই সাথে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। অষ্টগ্রাম উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার কাছে এর প্রতিকার চাওয়া হলে তিনি ২৮ সেপ্টেম্বর তাদেরকে আসতে বলেন। কিন্তু ইউএনও’র কার্যালয়ে গেলে মোস্তাক আহম্মেদ এবং মনিরুজ্জামান মনিরের নেতৃত্বে তাদের লোকজন পুণরায় মারধর করে এবং আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় ইউএনও কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় পরদিন ২৯ সেপ্টেম্বর অষ্টগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন রাম চরণ দাস। কিন্তু পুলিশ এ পর্যন্ত কোন ব্যাবস্থা না নেয়ায় সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিকার চেয়েছেন।