কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ময়মনসিংহের ভালুকায় শেষ হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এবছর উপজেলায় ৬১ টি মন্ডপে পূজা উদযাপন হয়েছে। বিভিন্ন পূজা মন্ডপ ঘুরে দেখা গেছে শান্তিপূর্ণ ভাবে শেষদিনের পূজা উদযাপন করছেন পূজারীরা। দর্পণ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে মন্দির-মন্ডপে শেষ হয়েছে দুর্গাপূজার শাস্ত্রীয় সব পূজা অর্চনা। এবছর নবমী-দশমী তিথি একসাথে হওয়ায় একইদিনে শেষ হলো দুর্গাপূজার মূল আয়োজন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে, দোলায় চড়ে মর্ত্যলোকে এসেছিলেন মহামায়া দেবী দূর্গা। ঘোটকে চড়ে এবার ফিরে যাচ্ছেন কৈলাসে। দেবীকে বিদায় দিতে সম্পন্ন করা হয়েছে দুর্গাপূজার দশমীর শাস্ত্রীয় সকল পূজা। শনিবার (১২ অক্টোবর) সকাল ৬টা ১০ মিনিটে শুরু হয় মহানবমী পূজা। এরপরই ৮টা ২৬ মিনিটে শুরু হয় দশমীর বিহিত পূজা। পঞ্জিকা ও শাস্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী, এবছর নবমী ও দশমী তিথিও পড়েছে এক সাথে। তাই একই দিনে নবমী ও দশমীর পুষ্পাঞ্জলি দিয়েছেন ভক্তরা। রবিবার (১৩ আগস্ট) প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে সমাপ্তি হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এই বৃহৎ উৎসব। এবছর শান্তিপূর্ণ ভাবে পূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহ প্রশাসনের ভূমিকা ছিলো তৎপর। পূজারীরা জানান, এই বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় শান্তিপূর্ণ ভাবে পূজা উদযাপন করতে পেরেছি। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন সহ অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলীনূর খান জানিয়েছেন, ভালুকা উপজেলায় পূজা শুরুর আগ থেকে শেষদিন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।