বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন। তার পিতা হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকালে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার দক্ষিণ ডুবলদিয়া আব্দুর রাজ্জাক হাই স্কুল এন্ড কলেজের মাঠে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস জাজিরা উপজেলা শাখার আয়োজনে গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। আল্লামা মামুনুল হক বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে যেই শক্তিকে পরাজিত করে বাংলাদেশের ছাত্রজনতা গণ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ তৈরির পথ রচনা করেছে সেই পরাজিত শক্তি কিন্তু বসে নেই। সেই পরাজিত শক্তির শেকড় বাংলাদেশের মাটিতে নয় বরং তাদের শেকড় দেশের বাহিরের ভিন্ন কোথাও। তারা দলে দলে গিয়ে সেখানে বসে সংঘবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নতুন ষড়যন্ত্রের দানা বাধছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ধর্মীয় অঙ্গনকে ঘোলা পানির পরিবেশ তৈরি করে মাছ শিকার করার পায়তারা করেছিলো শেখ হাসিনার। তার একটি কুফুরি স্লোগান ছিলো ধর্ম যার যার উৎসব সবার। এই কথা বলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উৎসবে মুসলমান সন্তানদেরকে নিয়ে জগাখিচুড়ি পাকিয়ে নানা জায়গায় অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার পায়তারা চালিয়েছিলো। মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসবে যেমন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা আসবে না তেমনি মুসলমানের সন্তানেরা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পূজা মন্ডপে যাবে না। মামুনুল হক বলেন, শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশ নয়, আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন। সে তা পিতার হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন। তিনি বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন। তিনি এমন একজন নেতা যে ছাত্র জনতার বিপ্লবে নেতাকর্মীদের ফেলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পালিয়ে গেছেন। আমরা ২০২৪ সালে যে স্বাধীনতা অর্জন করেছি আমাদেরকে এ বিজয় ধরে রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে বিজয় ধরে রাখা কঠিন কাজ। এসময় জাজিরা উপজেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা নুরুল আমীনের সভাপত্বিতে গণসমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্নমহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ ও মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, শরীয়তপুর জেলার সভাপতি মাওলানা শাব্বীর আহমদ উসমানীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ হাজার হাজার জনতা উপস্থিত ছিলো। পরে মাওলানা জালালুদ্দিন আহমদকে আগামী নির্বাচনে শরীয়তপুর-১ (পালং-জাজিরা) আসনে খেলাফত মজলিসের (রিক্সা প্রতিক) প্রার্থী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন মামুনুল হক।