শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২১ পূর্বাহ্ন

জমি দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

মোস্তাফিজুর রহমান সুজন পটুয়াখালী
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৪

পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে আওয়ামী সন্ত্রাসী ভূমি দস্যু এমএ খায়ের মোল্লা কর্তৃক ৯.১০.২০২৪ ইং তারিখ মিথ্যা তথ্যের আলোকে প্রদত্ত সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত। রবিবার (১৩ অক্টোবর) বেলা ১১ টায় পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স (আইডিইবি) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ঢাকা মহানগর ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক মো. জসিম সিকার রানা তার লিখিত বক্তব্যে বলেছেন, ২০১৪ সালে কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটার লতাচাপলী মৌজায় এসএ১২৬২/১ খতিয়ান-১৫ এর সাড়ে ১৫ শতাংশ জমি মো. সায়েদুর গংদের নিকট থেকে ৭৪ লক্ষ টাকা বায়নামুলে একতলা ভবনসহ ক্রয় করি। দলিল সম্পাদনে সরকারি পারমিশন পেতে বিলম্ব হওয়ার সুযোগে গোপালগঞ্জের হাল সাং ৯/( চ) ঢাকাস্থ সেক্রেটারী রোডের বাসিন্দা আওয়ামীলীগের নেতা দুধর্ষ সন্ত্রাসী ভূমি দস্যু এমএ খায়ের মোল্লা উক্ত জমির উপর কুনজর পরে এবং ২০১৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী রাতে জমিদাতা সায়েদুর রহমানগংদেরকে প্রশাসনের সহা য়তায় ডিবি পুলিশের পরিচয়ে তুলেনিয়ে ঢাকাতে বসে কমিশনের মাধ্যমে ২২ লক্ষ এক হাজার টাকা দর্শাইয়া ৭৯৪/১৭ নং কবলা দলিল সৃষ্টি করে আমার হোটেল জবর দখল করে এবং আমি যাতে বাধা দিতে না পারি, সেজন্য সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হত্য খুনসহ মিথ্য মামলা দিয়ে হয়রানির ভয়ভীতি দেখায়ে হোটেল জবর দখল করে ভেলী হোটেল নাম দিয়ে ব্যবসা করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত করে আওয়ামীলীগ নেতা খালেক মোল্লা। নিরুপায় হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়ে এম এ খায়ের মোল্লার জোর পূর্বক সৃষ্টিকৃত দলিল বাতিলের জন্য পটুয়াখালী বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতে দেওয়ানী ১৬২/২৪ ইং ১৮.৭.২৪ তারিখে সিভিল মোকদ্দমা দায়ের করি। উক্ত মোকদ্দমায় বিজ্ঞ আদালত ১৯.০৯.২৪ তারিখে সাক্ষী সাবুদ গ্রহন করে কাগজ পত্র পর্যালোচনা করে রায় দেন এবং এম এ খায়ের মোল্লার জোর করে নেওয়া ৭৯৪/২০১৭ নং দলিল খানা বাতিল করেন। সংবাদ সম্মেলনে জসিম সিকদার আরও বলেন, উক্ত আওয়ামী সন্ত্রাসী ভূমি দস্যু এম এ খায়ের মোল্লা গত ইং ০৯.১০.২৪ তারিখে মিথ্যা তথ্যের আলোকে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোটার্স এ্যাসোসিয়েশন। ক্রাপ -এ অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলন করায় এবং তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করায় বিষয়টি আমার নজরে আসায় এম এ খায়ের মোল্লা কর্তৃক লিখিত ও মৌখিক বক্ত্যবে যা কিছু উল্লেখ করেছেন তা সম্পূর্ন মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমি মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে জসিম সিকদার বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা বিরোধী বৈষাম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন ঐ আওয়ামী সন্ত্রাসী খায়ের মোল্লা সে ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে বানচাল করার জন্য গোপালগঞ্জ ও ঢাকা শহরে শাহবাগ এলাকায় পুলিশের সহায়তায় নারকীয় তান্ডব চালায় এবং নেতৃত্ব দেয়। তার হাতে অনেক নিরীহ ছাত্র জনতা খুন হয়। ৫ আগাই স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলে ঐ সন্ত্রাসী খায়ের মোল্লা আত্মত্মগোপনে চলে যায়। শেখ হাসিনার পতনের পরে আমি খায়ের মোল্লাকে দেখি নাই বিধায় তাকে অপহরন করার কোন কারন নাই এতকিছুর পরেও আমার কাগজ পত্র সঠিক থাকা এবং জমি দাতারা আমার পক্ষে থাকা অবস্থায়ও সন্ত্রাসী এম এ খায়ের মোল্লার ভয়ে এবং অব্যাহত হুমকীতে আমার মালিকানাধীন হোটেল পরিচালনা করতে পারছিনা তিনি বলেন আমি জাতীয়তাবাদী আদর্শের একজন সৈনিক। আমি সব সময় দলের আদার্শকে বুকে লালন করে চলি আমি ব্যক্তি জীবনে কখনো অন্যায় করিনা এবং অন্যায়কে প্রশ্রয় দেই না। আমি কখনো আমার দলের সুনাম ক্ষুন্ন হোক এরকম কাজ অতীতে করিনাই এবং ভবিষ্যতেও করার কোন সুযোগ নাই মর্মে দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি। আওয়ামী সন্ত্রাসী এম এ খায়ের মোল্লা যাদের নিকট থেকে জোর পূর্বক দলিল নিয়েছে সেই ক্ষতিগ্রস্থ সায়েদুর রহমান, আলী হোসেন, মনিরা বেগম আজকে আপনাদের সামনে উপস্থিত আছেন। তাদের মুখ থেকে খালেক মোল্লার জুলুমের বর্ননা শোনবেন এবং সন্ত্রাসী ভূমি দস্যু এস এ খালেক মোল্লা কর্তৃক অবৈধ দখলে রাখা আমার ক্রয়কৃত একতলা ভবনসহ সাড়ে ১৫ শতাংশ জমি উদ্ধার করতে পারি তার জন্য প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখার জন্য উপস্থিত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া সাংবাদিকদের বিনীত অনুরোধ করেছেন ঢাকা মহানগর ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক মো. জসিম সিকার রানা। এ সময় তার সাথে ছিলেন তার আইনজীবী মো. মহসীন, চাচাতো ভাই ফরিদ সিকদার, ভাতিজা মেহেদী হাসান ও রেজা সিকদার, জমিদাতা সায়েদুর রহমান, মনিরা বেগম, মজিবুল হক ও আলী হোসেন খান।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com