সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
কলমাকান্দা-বরুয়াকোনার সড়কে খানাখন্দ, জনদুর্ভোগ চরমে উৎসব মুখর পরিবেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুগোৎসব পালন হয়েছে-ইঞ্জিনিয়ার আকরাম হোসেন তালিম সোসাল মিডিয়ায় ইসলাম নিয়ে কটুক্তির জেরে নাজিরপুরের ০২ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার গলাচিপা উপজেলা প্রশাসনে আন্তর্জাতিক দূর্যোগ প্রশমন দিবসে রেলি আলোচনা সভা সংষ্কার করতে এসেছি বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে নয়-দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম কমলগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসব সম্পন্ন মৌলভীবাজার-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিষ্টার জহরত আদিব চৌধুরী সীমান্তের কাঁটা তারের বেড়ায় দুই বাংলার মিলন মেলা জমি দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন বিজয়নগরে মহিলা আওয়ামী লীগ সেক্রেটারি ইয়াবাসহ স্বামী-স্ত্রী গ্রেফতার

সীমান্তের কাঁটা তারের বেড়ায় দুই বাংলার মিলন মেলা

মোসলেম উদ্দিন (হিলি) দিনাজপুর
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৪

শারদীয় দূর্গাপুজা উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের কাঁটা তারের বেড়ার দুইপাশে ভারত-বাংলাদেশের মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে। সীমান্তে দুই বাংলার শতশত মানুষ ভিড় করছেন। কেউ পুজা দেখতে, কেউ তাদের আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে। তবে কঠোর নিরাপত্তায় আছে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিজিবি ও বিএসএফ। রোববার (১৩ অক্টোবর) শারদীয় দূর্গাপুজার মহাদশমী। সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস ও পিকআপে করে দর্শনার্থী ও ভক্তরা আসছেন হিলি সীমান্তে। ওদিকে ভারত সীমান্তও বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা আসছেন বাংলাদেশের পুজা দেখতে। কিন্তু সীমান্তে কাঁটার তারের বেড়া এবং বিজিবি ও বিএসএফের কঠোর মনোভাবের কারণে এপার থেকে ওপারে যেতে না পারছেন কেউ। তাই দুই পাশে দাঁড়িয়ে দুই বাংলার দর্শনার্থীরা একে অপরকে দেখছে, ছবি তুলছে, আবার হাত আর চোখের ইশারায় কথা বলছেন অনেকেই। কাছে না পাওয়ার দুঃখটাকেও এভাবে আনন্দ নিচ্ছে তারা। বিভিন্ন স্থান থেকে আসা দর্শনার্থীরা বলেন, সীমান্তে কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে দুই বাংলাকে ভাগ করে দিলেও আমাদের মনকে তো আর ভাগ করতে পারেনি, আগে তো দুই বাংলা একই ছিল। তাই ভালোবাসার টানে, প্রাণের টানে, নাড়ির টানে আমরা ছুটে এসেছি সীমান্তে। আমাদের অনেক আত্মীয় স্বজন ভারতে আছে। দুর থেকে অনেক দিন পর ঐপারে স্বজনদের এক নজর দেখতে পেলাম, এটাও অনেক শান্তি। রংপুর থেকে আসা প্রদীপ কুমার বলেন, এক সময় এই দুই দেশ এক ছিলো। দেশ ভাগ হওয়ার পর সব আলাদা। ঐদেশে আমার অনেক আত্মীয় স্বজনরা আছেন। প্রতি বছর পুজার সময় ভারতে যেতাম। বর্তমান ভিসা বন্ধ, তাই যাওয়া হয়নি। তবে একটু প্রশান্তি পাবার আশায় এখানে আসছি। ওপারে আত্মীয়রা আসছে। মাঝখানে কাঁটা তারের বেড়া, কাছে যেতে পারছি না। কাছে যেতে না পারলেও দুর থেকে চোখের দেখা আর হাতের ইশারায় কথা বলা হচ্ছে। এতেই অনেকটা শান্তি পাচ্ছি। হিলি চেকপোস্টের দায়িত্বরত বিজিবির কমান্ডার নায়েব সুবেদার অসিম উদ্দিন জানান, আজ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দুর্গোৎসবের শেষদিন, প্রতিমা বিসর্জ্জনের দিন। সীমান্তের দুই পাশে দুই দেশের মানুষ অবস্থান করছে। তারা একে অপরকে দুর থেকে দেখছে। আমরা কঠোর নিরাপত্তার সাথে সীমান্তে অবস্থান করছি। এখানে কোন রকম বিশৃঙ্খলা হবে না আশা করছি। হিলি ইমিগ্রেশন ওসি আরিফুল ইসলাম জানান, হিন্দু ধর্মাবলাম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপুজা উপলক্ষে ভারত-বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা পুজা দেখতে আসা-যাওয়া করতো। কিন্তু টুরিস্ট ভিসা বন্ধ থাকায় দুই দেশের যাত্রী পারাপার কম। শুধু মেডিকেল ভিসার যাত্রী যাওয়া আসা করছে। এই কারণে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার কমেছে। তবে শুধু মেডিকেল ভিসার যাত্রীরা পারাপার স্বাভাবিক আছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com