গাজীপুরের কালীগঞ্জে মাদরাসা শিক্ষার্থীর বাড়ী ফেরা হলো না কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী নাফিজউদ্দিন আহম্মেদ খান(৭)। বেপরোয়া অটো রিক্সায় কেড়ে নিল তার প্রাণ। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকালে গাজীপুর-আজমতপুর-ইটাখোলা আঞ্চলিক মহাসড়কের আজমতপুর চৌরাস্তার সংলগ্ন রাস্তায়।সে একই গ্রামের লেহাজউদ্দিন খানের ছেলে। নিহত নাফিজ আজমতপুর হাফিজিয়া মাদরাসার নাজরানা বিভাগের ছাত্র ছিল। স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, প্রতিদিনের ন্যায় নাফিজ সকালে হাফিজিয়া মাদরাসায় কোরআন শিক্ষার জন্য যায়। মাদরাসা ছুটির পর বাড়ি ফেরার পথে গাজীপুর-আজমতপুর-ইটাখোলা আঞ্চলিক মহাসড়কের আজমতপুর চৌরাস্তার সংলগ্ন নিজ বাড়ির কাছাকাছি পৌছলে একটি দ্রুতগামী অটো রিক্সা নাফিজকে ধাক্কা দিলে সে ছিটকে রাস্তায় পড়ে যায়। পরে তার উপর দিয়ে ওই অটো রিক্সার চাকা নাফিজকে চাপা দেয়। এতে তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান মারাত্মক ভাবে জখম হয়। এ সময় বিকট শব্দ পেয়ে স্থানীয় লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে তাকে গুরুত্বর আহত রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহম্মেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষনা করেন। বাদ আছর নামাজের জানাযা শেষে পারিবারিক কবস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়েছে। এ বিষয়ে নিহতের মা কুহিনুর বেগম বলেন- আমার এক মেয়ে এক ছেলে ছিল। ছেলেই ছিল আমার পরিবারের একমাত্র আশা-ভরসা। আমার স্বপ্ন ছিল ছেলে কোরআনের হাফেজ হবে। তাও শেষ হয়ে গেল। এখন আমি কাকে নিয়ে বাঁচবো। অটো চালক জাহাঙ্গীর খরাদী(৫০) এর বাড়ী পাশবর্তী কাপাসিয়া উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের তিলশুনিয়া গ্রামে। সে মৃত কফিজউদ্দিন এর ছেলে। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আলাউদ্দিনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি জানা নেই বলে জানিয়েছেন এবং স্থানীয় ভাবে নিস্পত্তি হয়েছে কিনা তাও আমার জানা নেই।