ময়মনসিংহের ফুলপুরে প্রবল বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যার পানি ধীর গতিতে কমতে শুরু করেছে। উপজেলার ছনধরা, সিংহেশ্বর, ফুলপুর, বালিয়া, বওলা ও রামভদ্রপুর ইউনিয়নের ৩৫টি গ্রামের মানুষ এখনও পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। বন্যার পানি কমতে শুরু করায় দেখা যাচ্ছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। প্লাবিত গ্রামগুলোর অধিকাংশ সড়কই ভেঙে গেছে। পচে গেছে গ্রামের পর গ্রামের আমন ধান ও সবজি ফসল। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। ছনধরা ইউনিয়নের হাটপাগলা গ্রামের কৃষক মোঃ রূপচান মিয়া জানান, প্রায় দেড় একর জমিতে আমন রোপন করেছিলাম। ফসল ভাল হয়েছিল। বন্যার পানিতে তলিয়ে সব শেষ হয়ে গেছে। সামনের দিনগুলোতে চলার পথ দেখছি না। সিংহেশ্বর ইউনিয়নের পুরাপুটিয়া গ্রামের মোঃ আব্দুল রাজ্জাক জানান, বৃষ্টি না থাকায় পানি আস্তে আস্তে কমতে শুরু করেছে। কিন্ত বাড়ীর চার পাশের পানি এখনো সরেনি। ক্ষতিগ্রস্থ ঘরবাড়ি মেরামত নিয়ে চিন্তায় আছি। উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ ফারুক আহম্মেদ জানান, উপজেলার ৫৬৮০ হেক্টর জমির আমন ধান বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়া শাক সবজি ১৪৫ হেক্টর ও মাসকলাই ৫ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এতে প্রায় ৬৩ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা জানান, উপজেলার ফিসারিগুলোর প্রায় ২৬ কোটি টাকার মাছ বন্যায় ভেসে গেছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারধ কর্মকর্তা কামরুল হাসান কামু জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের জমিতে আগাম সরিষা চাষের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তারা সরিষার পর বোরো ফসলও করতে পারবে। এতে কৃষকরা কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ,বি,এম আরিফুল ইসলাম জানান, বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ত্রাণ তৎপরতা চালানোর পাশাপাশি বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।