শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন

রাতের অন্ধকারে মাদ্রাসার নাম ভাঙ্গিয়ে তাঁতের বাড়ীতে ঘর নির্মাণের অভিযোগ

নিয়াজ মোর্শেদ (স্বরুপকাঠী) পিরোজপুর
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৪

ইসলাম শান্তির পরিবেশ তৈরী করার পক্ষে। শান্তির কথা বলে ইসলাম। আর সেই কারনে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ধর্ম ইসলাম। ইসলাম ধর্ম বরাবরই মানবতার কথা বলে। অথচ এতকিছুর পরও বর্তমান সময়ে কিছু কিছু ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিতর্কিত হচ্ছে বেআইনী কাজকর্ম করার জন্য। আর সেই সূত্র ধরেই স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে ছারছিনা বড় দরবার শরীফের লোকজন রাতের অন্ধকারে তাঁতের বাড়ীতে ঘর নির্মাণ করে বিতর্কিত হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠছে। প্রয়াত দাদা হুজুরের ওছিয়তনামা না মানারও অভিযোগ উঠছে। বিগত বছরগুলোতে বিশেষ করে আওয়ামী লীগের সময়ে ছারছিনা দরবার শরীফের (বড়) কিছু কিছু কাজকর্ম বিতর্ক সৃষ্টি করে সর্ব মহলে। এলাকার সুধী সমাজের লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, ছারছিনা দরবার শরীফ আমাদের স্বরূপকাঠি উপজেলার জন্য আর্শীবাদ। দাদা হুজুরের বদৌলতে আমরা সকলেই শান্তির মধ্যে আছি। ইসলাম প্রচার প্রচারণায় প্রয়াত দাদা হুজুর সমগ্র বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম ধারক বাহক। আর সেই কারনে আজকের ছারছিনা দরবার শরীফ আমাদের সকলের জন্য আর্শীবাদ। অথচ এতকিছুর পরও বর্তমান সময়ে কিছু কিছু ধর্মীয় নিয়ম নীতি উপেক্ষা করার পাশাপাশি বিশ্বাসের বাহিরে থেকে লোভের কারনে প্রকৃত অংশীদারদের বৈধ সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত করার মিশনে ছারছিনা বড় দরকার। আর সেই সূত্র ধরেই গত পরশু রাতের অন্ধকারে তাঁতের বাড়ীতে অন্যের বৈধ সম্পত্তির উপর ঘর নির্মাণ করে বিতর্কিত বড় দরবার। স্থানীয় সূত্র আরও জানান রাতের অন্ধকারে ছারছিনার বড় দরবার ঘর নির্মাণ করেন। স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ সহ সহকারে সঠিক তথ্য উদঘাটন করার মিশনে ছিল এলাকার বেশির ভাগ লোকজন। পরবর্তী সময়ে জেলার ও উপজেলার গণ মাধ্যম কর্মীদের টিম সরাসরি অনুসন্ধানে যান সঠিক তথ্য উদঘাটন করার মিশনে। এব্যাপারে মেঝ দরবার শরীফের মাওলানা মোঃ সাইফুল্লাহ হুজুর জেলার গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, মাদ্রাসার কথা বলে রাতের অন্ধকারে বড় দরবার তাঁতের বাড়ীতে ঘর নির্মাণ করে। প্রয়াত দাদা হুজুরের ওছিয়তনামায় সুস্পষ্ট ইঙ্গিত থাকা সত্বেও বড় দরবার বিগত বছরগুলোতে আমাদের বৈধ অধিকার থেকে বঞ্চিত করার মিশনে রয়েছে। ইসলাম শান্তির পরিবেশ তৈরী করার পক্ষে অথচ ছারছিনার বড় দরবার বিগত বছরগুলোতে একের পর এক বিতর্কিত কাজ কর্ম করে পরিবেশ কুল শত করে আসছে। এলাকার বেশির ভাগ লোকজন সহ মেঝ দরবার শরীফের সন্মানিত হুজুর আর বলেন, প্রয়াত দাদা হুজুর দুই ভাবে ওছিয়তনামা করে যান।পারিবারিক ভাবে ওছিয়তনামা এবং সাধারণ ওছিয়তনামা। এদিকে এলাকার শীর্ষ নেতৃবৃন্দরা গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, তাঁতের বাড়ীতে মোট ০৫ টা দলিল রয়েছে। ছারছিনা দরবার শরীফের প্রয়াত মেঝ পীর হযরত মাওলানা শাহ মোঃ ছিদ্দিক সাহেবের নামে ৪টি দলিল রয়েছে এবং ঐ সম্পত্তি দলিল মূলে মালিক প্রয়াত ছারছিনার মেঝ পীর হযরত মাওলানা শাহ মোঃ ছিদ্দিক সাহেব।আর বাকী একটা দলিলে ৫২ শতাংশ সম্পত্তি রয়েছে। আবার সেই দলিলের ছারছিনা দরবার শরীফের বড পীরের এবং বাকী অংশ প্রয়াত হযরত মাওলানা শাহ মোঃ নূর সাহেবের নামে।আর সেই কারনে এলাকার মধ্যে নানান প্রশ্ন উঁকি ঝুঁকি সর্ব মহলে। দলিল নেই কিন্তু কিভাবে মাদ্রাসার জায়গা হয়।রাতের অন্ধকারে ছারছিনার বড় দরকার শরীফের ইন্দনে মাদ্রাসার নাম করে বেআইনি ভাবে ঘর নির্মাণ করার মিশনে। তাঁতের বাড়ীতে ২৫০ শতাংশ দলিল মূলে মালিক ছারছিনার মেঝ পীর হযরত মাওলানা শাহ মোঃ ছিদ্দিক সাহেব। এব্যাপারে জেলার গণ মাধ্যম কর্মীরা ছারছিনা দরবার শরীফের বড দরবার শরীফের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। কিছু কেহই সরাসরি দায়িত্ব নিয়ে কথা বলেন না। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, মাদ্রাসার নামে দলিল নেই কিন্তু কিভাবে মাদ্রাসার নাম করে রাতের অন্ধকারে ছারছিনার বড় দরবারের নির্দেশনা অনুযায়ী ঘর নির্মাণ করে। কোন ধরনের প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে হিমসিম খেতে হয়েছে। রাতের অন্ধকারে তাঁতের বাড়ীতে ঘর নির্মাণ করার গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগের পাশাপাশি আরও বহু অভিযোগ উঠছে। সরকারি খাল দখল করারও অভিযোগ উঠছে। প্রতিবেশীরা অনেকেই সরাসরি সঠিক তথ্য অনুযায়ী কথা বললেন সাংবাদিকদের সামনে। সরকারি খাল বন্ধ করে দেওয়ারও গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠছে। সরকারি জায়গায় বহু তলা ভবন নির্মাণ করারও অভিযোগ উঠছে। বিগত আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের সময়ে ছারছিনা দরবার শরীফের বড দরবার ইসলামের নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে রমরমা দখল বানিজ্যের সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ উঠছে। লোভের কারণে ছারছিনা দরবার শরীফের প্রয়াত মেঝ পীর (মেঝ দরবারের) সাথে বিমাতা সুলভ আচরণ করার মিশনে রয়েছে বর্তমান সময়ে বড় দরবার।ইসলামের সঠিক দিক নির্দেশনা উপেক্ষা করে এবং প্রয়াত দাদা হুজুরের ওছিয়তনামা অমান্য করে ইচ্ছে মতন যা খুশি তাই করে যাচ্ছেন।স্বার্থের জন্য ক্ষমতায় যে সরকার থাকবে সেই সরকারের চাটুকারিতা করতে কুন্ঠা বোধ করে না। বিগত বছরগুলোতে সরকারের সাথে আঁতাত করে রামরাজত্ব কায়েম করার মিশনে ছিল। গত ৫ আগষ্টের পর পরই সমগ্র বাংলাদেশের রাজনীতির পটভূমি পরিবর্তন হয়। আর সেই কারনে সুযোগ বুঝে জামায়াতের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কলা কৌশল তৈরি করে যাচ্ছেন। বাদ যায়নি বি এন পির সঙ্গে আঁতাত করার গুরুত্বপূর্ণ মিশন। বর্তমান সময়ে আওয়ামী লীগের লোকজনকে এড়য়ে চলতে দারুণ মুন্সিয়ানার ছাপ স্পষ্ট। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী কথা হয় স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে। তিনি বিষয়টি নিয়ে কিছুই জানেন না।কোন ধরনের অভিযোগও পায়নি। অবশ্য অভিযোগ পাওয়া মাত্র আইনানুসারে ব্যাবস্থা নেওয়ার কথা বললেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com