মায়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মির হেফাজত থেকে ১৬ বাংলাদেশী জেলেকে ফেরত এনেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। ১৪ অক্টোবর ২৪ তারিখ সন্ধ্যা ৬ টায় মায়ানমার আরাকান আর্মি নাফ নদী দিয়ে জেলেদেরকে বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি)র নিকট হস্তান্তর করেন। জানা যায়, কক্সবাজারের নুনিয়ারছড়া ফিশারি ঘাট হতে গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ সকালে ১৬ জন জেলে একটি ট্রলারযোগে গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যায়। গত ৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় ৩টি ট্রলারে করে অজ্ঞাত ডাকাতদল জেলেদের ওপর আক্রমণ করে মারধর করতঃ ট্রলারের ডেকের ভিতরে বন্দী করে রাখে। গত ৭ অক্টোবর আনুমানিক ভোর ৪ টায় ডাকাতদল জেলেদেরকে বঙ্গোপসাগরের মায়ানমার অংশে একটি চরে ছেড়ে দেয়। পরে জেলেরা মায়ানমারের বেসামরিক জনগণের মাধ্যমে আরাকান আর্মির সাথে যোগাযোগ করে এবং তাদের নিকট স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে। উক্ত জেলেরা প্রায় ৬ দিন আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকার পর গত ১৩ অক্টোবর তাদের আটকের বিষয়টি বিজিবিকে অবহিত করে। এ প্রেক্ষিতে বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) মায়ানমার আরাকান আর্মির সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে গতকাল সন্ধ্যায় নাফ নদী দিয়ে ১৬ জন জেলেকে বাংলাদেশে ফেরত আনে। ফিরে আসা বাংলাদেশী নাগরিকগণ হলেন- কক্সবাজারের রামু উপজেলার তুরিঙ্গাকাটা গ্রামের মৃত হোসেন আহমেদের ছেলে মোঃ ইসমাইল(২৭), কক্সবাজার সদরের মৃত কেফায়েত উল্লাহর ছেলে আব্দুল হাফেজ(২৮), মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে আজিজুর রহমান(৪৫), মৃত অলি আহমদের ছেলে আবু হেনা(৪০), মৃত ঠান্ডু মিয়ার ছেলে আলী(৪০), মোস্তাকের ছেলে আরাফাত(৩০), তোফাজ্জলের ছেলে মোঃ হেলাল(২৮), মৃত নূর মোহাম্মদের ছেলে আমান উল্লাহ(৫০), মোঃ ওয়ারেজের ছেলে নবী হোসেন(২৮), মৃত মুকবুল আহমেদের ছেলে মোঃ সলিমুল্লাহ(৪৫), মৃত আমির হোসেনের ছেলে মোঃ ইউনুস(৫২), মোহাম্মদের ছেলে মোঃ সাগর(২২), আলী আকবরের ছেলে মোঃ সেলিম(২৮), মোস্তাক আহমদের ছেলে দিল মোহাম্মদ(২৭) এবং মৃত মুকবুল হোসেনের ছেলে রহিম উল্লাহ(৫২) ও মোঃ জয়নাল(৫৫)। পরবর্তীতে ফিরিয়ে আনা ১৬ জন জেলেকে তাদের নিকটতম আত্মীয়-স্বজনের সাথে যোগাযোগ করে তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করে বিজিবি। টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) বিজিবিএমএস অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।