ছয় ঘণ্টা ধরে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রেখেছেন বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের কর্মচারীরা। এ কারণে শাহবাগ ও এর আশপাশের রাস্তায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারীরা। চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে গতকাল শনিবার সকাল ১০টা থেকে বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের কর্মচারীরা এই অবরোধ শুরু করেছেন। বিকেল ৪টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অবরোধ চলছে।
অবরোধকারীরা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত দপ্তর, অধিদপ্তরের সব প্রতিষ্ঠানে আউটসোর্সিং প্রকল্পে কর্মরতদের চাকরি স্থায়ী করার এক দফা দাবি জানিয়েছেন।
বিকেল ৪টার আগে বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের কর্মচারীদের ছয়জনের একটি প্রতিনিধিদল অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার উদ্দেশে গিয়েছে। কর্মচারী পরিষদের সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, আলোচনার জন্য যমুনা থেকে তাঁদের ডাকা হয়েছে। দাবি মেনে নেওয়া হলে তাঁরা সরে যাবেন। আর দাবি না মানা হলে শাহবাগেই অবস্থান করবেন বলে জানান তিনি।
সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কয়েক শ অবরোধকারী শাহবাগে অবস্থান করছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও সেখানে আছেন। দুপুরে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি শাহবাগ মোড়ে আসেন। তিনি অবরোধকারীদের প্রতি সংহতি জানান। তাঁদের দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
অবরোধ চলাকালে শাহবাগ ও এর আশপাশের রাস্তায় প্রচ- যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সগুলো ঘুরে অন্য রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে। সায়েন্স ল্যাব থেকে শাহবাগে আসার রাস্তা ও বাংলামোটর থেকে শাহবাগে আসার রাস্তা যানজটে স্থবির হয়ে গেছে।
অবরোধ চলাকালে আউটসোর্সিং খাতে নিয়োজিত কর্মচারীরা বেশ কিছু অভিযোগ তুলে ধরেছেন। তাঁদের অভিযোগ, টেন্ডার জটিলতায় কর্মরত অনেকের চাকরি চলে যায়, বছর শেষে জুন মাসে নবায়ন করার নামে বিপুল অঙ্কের ঘুষ দাবি করা হয়, ঘুষ না দিলে চাকরি চলে যায়। এ ছাড়া প্রতি মাসে বেতন না পাওয়া, কখনো কখনো পাঁচ থেকে ছয় মাস আবার এক থেকে দুই বছরও বেতন বকেয়া থাকে বলে অভিযোগ করেছেন অবরোধকারীরা। শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম শাহাবুদ্দিন শাহীন বলেছেন, প্রতিনিধি দল যমুনায় আলোচনা শেষে ফিরলে পুলিশ পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।