সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে গতকাল পাকিস্তানের কাছে হারতে হারতে বেঁচে গেছে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। যোগ করা সময়ে যাঁর গোলে এই হার বাঁচানো, সেই শামসুন্নাহার জুনিয়রকে ম্যাচ শেষে দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়াম থেকে যেতে হয়েছে স্থানীয় একটি হাসপাতালে।
বাংলাদেশ দলের জন্য ভালো খবর, ময়মনসিংহের কলসিন্দুরের মেয়ে শামসুন্নাহারের কপালের কেটে যাওয়া স্থানে ক্ষতটা গভীর নয়। কোনো সেলাই লাগেনি। তবে শামসুন্নাহারের সঙ্গে বল দখলের সংঘর্ষে কপালে আঘাত পাওয়া পাকিস্তানের অধিনায়ক মারিয়া খানের তিনটি সেলাই লেগেছে। ম্যাচ শেষে স্টেডিয়াম থেকে দুজনকেই নেওয়া হয় স্থানীয় স্টার হাসপাতালে।
শামসুন্নাহারকে চিকিৎসক একটা ইনজেকশন দিয়েছেন, তবে কোনো অ্যান্টিবায়োটিক দেননি। মাথায় অবশ্য ব্যান্ডেজ করে দেওয়া হয়েছে তাঁর। আগামীকাল হয়তো সেই ব্যান্ডেজ খুলে ফেলা যাবে। সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ দলের ফরোয়ার্ড ফিট আছেন। ২৩ অক্টোবর ভারতের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাঁকে পাওয়ার আশা করছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
ম্যাচের ১০ মিনিটে ঋতুপর্ণা চাকমার ক্রসে পাকিস্তানের গোলমুখে হেড করতে লাফিয়ে ওঠেন শামসুন্নাহার। পাকিস্তান গোলকিপার নিশা আশরাফ ও অধিনায়ক মারিয়া খান বল ক্লিয়ারের চেষ্টা করেন। এতেই চোট পান শামসুন্নাহার ও মারিয়া। খেলা বন্ধ থাকে কয়েক মিনিট।
পরে শামসুন্নাহার ও মারিয়া কপালে ব্যান্ডেজ পরে মাঠে নামেন । দুজনই ব্যান্ডেজ নিয়ে পুরো ম্যাচ খেলেছেন। পাকিস্তানের রক্ষণে মারিয়া প্রবল প্রতিরোধ গড়েন বাংলাদেশ দলের সামনে। কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারেননি।
যোগ করা ৬ মিনিট সময়ের শুরুতেই ঋতুপর্ণার ক্রস থেকে জটলার মধ্যে শামসুন্নাহারের হেডে বাংলাদেশ ১-১ গোলে ড্র করেছে পাকিস্তানের সঙ্গে। পুরো ম্যাচে একতরফা খেলেও বাংলাদেশ হারের মুখে পড়েছিল গোল না পাওয়ায়। অবশেষে সেই গোল আসে ম্যাচের অন্তিম সময়ে শামসুন্নাহারের কল্যাণে। পাকিস্তানের সঙ্গে ড্র করায় টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে ওঠার আশা ভালোভাবে টিকে থাকল বাংলাদেশের। এ কারণেই শামসুন্নাহারের গোলটার মূল্য অনেক বেশি।
৩২ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে বাংলাদেশের রক্ষণের ভুলে গোল পেয়ে যায় পাকিস্তান, যারা ২০২২ সালে গত সাফে এই কাঠমান্ডুতেই ৬-০ গোলে হেরছিল বাংলাদেশের কাছে। পাকিস্তান এ ম্যাচেও কোণঠাসা অবস্থায় ছিল। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রায় জিতেই যাচ্ছিল।