শেরপুর জেলার ঝগড়ারচর বাজারের ঐতিহ্যবাহী একুশতারা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেড” এর সদস্যদের বিরুদ্ধে সাবেক সভাপতির ছেলে রফিকুল ইসলামের করা মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে ঝগড়ারচর বাজারে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির বর্তমান সভাপতি শাহজাহান মিয়া। এসময় তিনি বলেন, আমরা একুশতারা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ এর প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে আজ অবধি সমিতির সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত আছি। সমিতির সাবেক সভাপতি মো. আব্দুস সামাদ এর কুচক্রান্তে অনৈতিক অর্থ লালসা, পদ পদবী আগলে রাখা, ঘর ভাড়ার নামে সমিতির যায়গা দখলের অপতৎপরতা, বিভিন্ন অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারনে সমিতির অপরাপর সদস্যরা মিলে তার সকল অনৈতিক কৃতকর্মের ফলে তাকে সমিতির সভাপতির দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয়। এর ফলে আক্রোশ মূলক মনোভাবে হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার প্রয়াসে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মিথ্যা মামলা মোকদ্দমা দিয়ে আমাদেরকে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ২০২২ সালের ১৪ এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত এক বছর মেয়াদে ঝগড়ার চর বাজরস্থ সমিতির নিজস্ব নামে থাকা এক খন্ড যায়গায় ১০লক্ষ টাকা জামানত দেয়ার কথা বলে সভাপতির একক ক্ষমতাবলে একটি টিনশেড ঘর নির্মাণ করে উক্ত ঘরে ভাড়া বাৎসরিক ৩৫হাজার টাকা ধার্য থাকলেও দুই বছরে কোন প্রকার ভাড়া প্রদান করেনি। জামানতের ১০লাখ টাকার কোন হিসাব কিতাব না দিয়ে আত্বসাত করেছে। বিগত ৫আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিজস্ব লোকবল দিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় সমিতির যায়গায় নির্মিত তার ছেলে রফিকুল ইসলামের নামে ভাড়ার চুক্তিকৃত ঘর নিজেরাই ভেঙে তছরুপ করে। পরবর্তীতে গত ৬ তারিখে সমিতির কয়েকজন সদস্যের নামে দ্রুত বিচার আইনে শ্রীবরদী থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ওই মামলায় পুলিশি তদন্তে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে গত ১০ অক্টোবর তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে মামলাটি মিথ্যা বলে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। আমরা এই মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও হয়রানিমুলক মামলার থেকে অব্যাহতি চাই। এসময় সমিতির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।