ঢলের পানি আমার ঘর ভেঙে নিয়ে গেছে এখন আমি বউ বাচ্চা নিয়া অন্যের ঘরের গোয়ালঘরের বারান্দায় থাকি। আমাদের কেউ খুঁজ খবর লয় না” কান্না জড়িত কন্ঠে কথাগুলো বলছিলেন দিনমজুর রিপন মিয়া। তিনি ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া উপজেলার বাঘবেড় ইউনিয়নের মধ্য শালকোনা গ্রামের বাসিন্দা। নিজের কোন জমিজমা নাই। অন্যের জমিতে কাজ করে দিন পার করতেন। এভাবেই দিন এনে দিন খেয়ে ৩ সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে একটি মাটির দেয়াল ঘরে থাকতেন তিনি। এবারের পাহাড়ি ঢলে এলাকায় বন্যা হলে তার ঘরটি ভেঙে যায়। এরপর তার বড় ভাই শওকত আলীর গোয়ালঘরের বারান্দায় কম্বলের বেড়া দিয়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে অনেক কষ্টে দিন পার করছেন তিনি । রান্না করে আনতে হচ্ছে অন্যের ঘর থেকে। বর্তমানে কোন কাজ না থাকায় তার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে। বন্যার সময় অনেকেই সহযোগিতা পেলেও তিনি কোন সহযোগিতা এখনো পাননি। দিনমজুর রিপন মিয়া আরো বলেন, বসত ঘর না থাকায় আমার বউ বাচ্চা নিয়ে খুব কষ্টে আছি। আমি সরকারের কাছে দাবী জানাচ্ছি আমাকে যেন বউ বাচ্চা নিয়ে একটি থাকার ব্যবস্থা করে দেয়। রিপন মিয়ার ভাই শওকত আলী বলেন, আমার ছোট ভাই অনেক কষ্টে দিন পার করছে। একটি মাত্র থাকার ঘর ছিল এটাও ভেঙে গেছে। এখন একটি গোয়াল ঘরের বারান্দায় খুব কষ্টে দিন পার করছে। স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য সদরুজ্জামান চানখা বলেন, রিপন মিয়া অন্যের জমিতে কাজ করে দিন পার করে। তার ঘরটি ভেঙে গেছে শুনেছি। সে তার ভাইয়ের গোয়ালঘরের বারান্দায় বসবাস করে। আমাদের এলাকায় সে অনেক দরিদ্র মানুষ। তার এমন ভয়াবহ অবস্থায় আমাদের অনেক খারাপ লেগেছে। এছাড়াও পাহাড়ি ঢলের বন্যার পানিতে অনেকের বাড়ি ঘর ও সকল ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। দীঘিরপার গ্রামের মৃত হাছেন আলীর ছেলে নুর ইসলাম বলেন, বন্যায় আমারও ঘরটি ভেঙে গেছে। স্ত্রী সন্তান নিয়ে আমিও অনেক কষ্টে দিন পার করছি। আমার ৪ টি কন্যা সন্তান নিয়ে রান্না ঘরে বসবাস করি।