পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যাপীঠ মাটিভাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের প্রিন্সিপাল গা ঢাকা দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে ভাইস চ্যান্সেলর কর্তৃক নির্বাচিত এডহক কমিটির নব গঠিত সভাপতি রেজা পাহলভী মাসুম ২৯ অক্টোবর সকাল ১০ টায় কলেজ পরিদর্শন করতে গেলে দেখতে পান প্রিন্সিপাল এর কক্ষে ডাবল তালা ও অধিকাংশ শিক্ষক অনুপস্থিত। শিক্ষক মিলনায়তন কক্ষেও ডাবল তারা ঝুলছে। এ বিষয়ে নব গঠিত এডহক কমিটির সভাপতির নিকট জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিনিধিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং বলেন, আমি কলেজের এডহক কমিটির দায়িত্ব পাওয়ার পরে এই ৩য় বারের মত কলেজে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য এসেছি, এমনকি আসার পূর্বে মুঠোফোনে প্রিন্সিপাল সহ কতক শিক্ষকদের সথে যোগাযোগ করেছি। দুর্ভাগ্যবশত কলেজে এসে প্রিন্সিপালন এর পরিবর্তে দেখতে পেলাম তার রুমে ডাবল তালা ঝুলছে। এক পর্যায়ে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর রুমে বসে উপস্থিত কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন এবং নব নির্বাচিত এডহক কমিটির বিদ্যুৎসাহী সদস্য বরইবুনিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম নান্নু ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম শেখ, জামাল হায়দার খান সহ কলেজের অন্যতম হিতাংঙ্খী এমদাদুল হক হাওলাদার ও কলেজের কতক প্রাক্তন শিক্ষকদের সাথে মত বিনিয় করেন। তখন নব গঠিত সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, বিগত আওয়ামী দু:শাসনের কড়াল গ্রাসে এই স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠটি দূর্ণীতির আখড়ায় ছেয়ে গিয়েছে। স্বৈর শাসক শেখ হাসিনা বৈসম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পালিয়ে গেলেও রেখে গেছে তার দূর্ণীতিবাজ দোসরদের। তারই একজন এই কলেজের প্রিন্সিপাল মোঃ আব্দুস সালাম। পিরোজপুর ১ আসনের সাবেক দূর্ণীতিবাজ সংসদ সদস্য এ কে এম এ আউয়াল মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এই প্রিন্সিপালকে নিয়োগ দিয়েছে। সারা দেশে এই সকল দূর্ণীতিবাজদের পরিবর্তন হলেও মাটিভাঙ্গা ডিগ্রি কলেজে পরিবর্তন হয়নি। শিক্ষকদের সাথে কথা বলে আরো জানা যায়, প্রিন্সিপাল গত ৩ দিন ধরে ছুটি ছাড়াই কলেজে আসছেন না এবং কারো উপরে দায়িত্বও অর্পন করে নাই বলে জানা যায়। বরং এরা আওয়ামীলীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে স্থানীয় বিএনপির মধ্যে গ্রুপিং সৃষ্টি করে এলাকার পরিবেশ দূষণ করছে বলে জানান।