বিগত আওয়ামী লীগের দুঃশাসন আমলে বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত থেকে দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে যে সকল নেতাকর্মীর জেল নির্যাতন হামলা শিকার হয়েছেন, ওই সকল ত্যাগী নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা দিতে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। ২৮ শে অক্টোবর সোমবার বিকেলে টঙ্গীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের কেন্দ্রীয় নেতা সালাহউদ্দিন সরকার এর বাসায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলহাজ্ব সালাউদ্দিন সরকার বলেন স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কোনো নেতা কর্মীকে আমার বাসভবনে জায়গায় নেই। আগস্ট মাস আওয়ামী লীগের মাস। এই আগস্ট মাসে আওয়ামী লীগ পালিয়েছে। ১৫ বছরে এই আওয়ামী লীগ সরকার আমাদের বিএনপির অনেক নেতা কর্মীদের মিথ্যা মামলা ও হত্যা করেছেন। আইন অনুযায়ী তাদের বিচার করা হবে। যারা বিগত দিনে আন্দোলন সংগ্রামে নিজেদের জেল জুলুম নির্যাতন অত্যাচার সহ্য করে শ্রম ও টাকা-পয়সা নষ্ট করে দলকে ভালোবেসে রাজনীতির মাঠে ময়দানে ছিল তাদেরকে মূল্যায়ন করতে হবে। ৫ই আগস্টের পর খোলস পাল্টে অনেক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে মিশে গিয়ে বিভিন্ন নৈরাজ্য সৃষ্টি করে বিএনপি’র বদনাম করার চেষ্টা করছে। মাঠে সকলের সতর্ক থাকতে হবে আওয়ামী লীগের দোসররা যাতে বিএনপির সাথে মিশে গিয়ে কোন ধরনের অপকর্ম করতে না পারে বসন্তের কোকিলদের কোন সুযোগ দেওয়া হবে না। চাঁদাবাজরা বসে থাকবে না ওরা সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবে। যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি পালিয়ে থেকে হাসিনা তার দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছে বিএনপি জামাতের বাড়ি ঘরে হামলা করার জন্য আমাদের কঠোর সতর্ক অবস্থায় থাকতে হবে। সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। ৫ই আগস্টের অর্জন সমুন্নত রাখতে সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। সাধারণ মানুষের কাছে ভালোবাসা অর্জন করতে হবে। বিএনপির সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। একজনের বিপদে সবাই পাশে থাকতে হবে। আমি বিগত দিনে নেতাকর্মীদের পাশে ছিলাম এখনো আছি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত থাকবো ইনশাআল্লাহ। অনুষ্ঠানে টঙ্গী থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইসমাইল সিকদার বসুর সভাপতিত্বে ও টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি সরাফত হোসেন এর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, গাজীপুর জেলা শাখার সাবেক সভাপতি আখতারুজ্জামান বাবুল, টঙ্গী থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সফিউদ্দিন খান সফি, সাবেক কাউন্সিলর নূর মোহাম্মদ, গাছা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ, ৫৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বি এম শামীম প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে নির্যাতিত নেতাকর্মীদের ফুল দিয়ে সম্বর্ধনা জানানো হয়। পরিশেষে বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় ও স্বৈরাচার বিরোধী সকল আন্দোলন সংগ্রামে নিহত নেতাকর্মী ও ছাত্র জনতার আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়েছে।