পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সরকারি খাল থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করার ফলে একটি জন গুরুত্বপূর্ণ পিচঢালা সড়ক ভেঙে পড়েছে। এছাড়া ভাঙ্গনের অপেক্ষায় আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সরেজমিনে দেখাগেছে, যা ইতোমধ্যে ফাটল ধরে হেলে পড়েছে। এতে আতঙ্কে রয়েছে উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের পূর্ব রজপাড়া খালের দুই পাড়ের বসবাসকারী বাসীন্দারা। স্থানীয়রা জানান, গত বছর সরকারী খাল থেকে মাটি বিক্রির পর মাছ চাষ করে সানী এবং ফেরদাউস নামের দুই প্রভাবশালী। তবে লেনদেন নিয়ে তাদের বিরোধ থাকায় গত কদিন ধরে বাঁধ দেওয়া খালের পানি সেচ করে মাছ ধরে নিয়ে যায় ফেরদাউস। কিন্তু গতকাল স্থানীয়রা সড়কে ফাটল দেখে পানি সেচে বাঁধা দেয়। তাদের কথা না শুনে পুনরায় সেচ করলে প্রায় ২ শত ৫০ ফুট দৈর্ঘ্য, ১০ ফুট উচ্চতা নিয়ে খালের মধ্যে পিসঢালা সড়কটি ভেঙ্গে পড়ে। স্থানীয় মো: মাহবুব মিয়া বলেন, রাত তিনটার দিকে একটা শব্দ পাই এখানে এসে দেখি রাস্তাসহ বিশাল এলাকা নিয়ে খালের মধ্যে ভেঙ্গে পরেগেছে। আরো অনেকক্ষণি নিয়ে ফাটল ধরছে। তাও যেকোন সময় ভেঙ্গে পড়তে পারে। আমরা এই খালের পারের অনেকগুলো পরিবার আতঙ্কে আছি। পানি সেচের কারনেই এটা হয়েছে।আমরা গ্রামবাসী এর প্রতিকার চাই। মুঠোফোনে তার সাথে যোগাযোগ করলে ফেরদৌস বলেন, আমি ঢাকায় আছি,আমি সানীর কাছে টাকা পাবো তাই আমার লোকজন দিয়ে ঐখালের মাছ ধরিয়েছি।তবে এর কারনে রাস্তা ভাংছে কিনা তা আমি জানিনা। সানীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি ওকে বলছি এ খালের পানি সেচলে রাস্তা ভেঙ্গে পরতে পারে, তারপরও ও আমার কথা না শুনে পানি সেচ করে মাছ ধরছে। এ রাস্তা ভেঙ্গে পড়ার জন্য দায়ী ফেরদৌস। কলাপাড়া সহকারী কমিশনার ভূমি মো: কৌশিক আহমেদ বলেন, আমি এখানে এসে দেখি অবৈধভাবে সরকারি খালের মাটি কেটে নেয়ায় এ সড়কের প্রায় ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।