আবহাওয়া ক্রমশ বাজে হওয়ায় রেফারি খেলা স্থগিত করে দিলেন। দুই দলের ফুটবলাররা মাঠ ছেড়ে বের হচ্ছেন, তখনই ঘটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। মাঠেই বজ্রপাত হয়, আর তাতে মারা যান এক ফুটবলার। লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুতে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে দ্য সানের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় দেশটির ফুটবলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পেরুর হুয়ানকায়ো শহরে আঞ্চলিক ফুটবল টুর্নামেন্টে স্থানীয় দুই ক্লাব জুভেন্তুদ বেয়াভিস্তা এবং ফ্যামিলিয়া চোক্কার খেলা চলছিল এদিন। ম্যাচের সময়ে বৃষ্টির কারণে মাঠের বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে যায়, ঝড়ও শুরু হয় ততক্ষণে। এ কারণে বাধ্য হয়ে রেফারি দু’দলকে নির্দেশ দেন মাঠ ছেড়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে যেতে। মাঠ ছাড়ার সময় বজ্রপাত হলে পাঁচজন খেলোয়াড় এবং একজন গোলরক্ষক বজ্রাঘাতে মাটিতে পড়ে যান।
৩৯ বছর বয়সী ফুটবলার হোসে হুগো দে লা ক্রুজ মেজা বজ্রাঘাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান। গোলরক্ষক হুয়ান চোক্কা ল্যাক্টা মারাত্মকভাবে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন, তার শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর পোড়া ক্ষত রয়েছে। ২৪ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ান সিজার পিতুই এবং দুই কিশোর, যাদের বয়স যথাক্রমে ১৬ ও ১৯ বছর। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্থিতিশীল রয়েছেন। পরে বজ্রপাতের কারণে ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
চিলকা জেলার সিভিল ডিফেন্স বিভাগের প্রধান জানান, দে লা ক্রুজের হাতে একটি ধাতব ব্রেসলেট ছিল, যা বজ্রপাতের কারণ হতে পারে। পেরুর প্রকৌশলী লুচো দুয়ার্তে এই ঘটনাকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘বজ্রপাতের ঝুঁকি এড়াতে খোলা মাঠে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা প্রয়োজন। খেলার মাঠে বজ্রপাত প্রতিরোধক ব্যবস্থা এবং ঝড়ের সময় দ্রুত কার্যক্রম বন্ধ করার সুরক্ষা প্রটোকল জরুরি।’
এর আগেও পেরুতে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। ২০১৪ সালে একটি ফুটবল ম্যাচে স্পোর্ট আগুইলা ক্লাবের হোয়াও কনত্রেরাস বজ্রপাতে আহত হন। তবে তিনি বেঁচে যান।