টাংগাইলে ধনবাড়ী উপজেলার যদুনাথ পুর ইউনিয়নের মাহমুদপুর ও পাতলাচড়া গ্রামে বাস করেন শতবর্ষী বৃদ্ধা সুরুজ মিয়া। সারাজীবন স্বপ্ন দেখেছেন একটি পাকা রাস্তা হবে এই গ্রামে। সরকার এসেছে, সরকার বদলেছে, অপেক্ষা শেষ হয়ে আক্ষেপে পরিণত হয়েছে-কিন্তু স্বপ্ন পূরণ হয়নি সুরুজ মিয়ার। তাইতো জীবনের পড়ন্ত বেলায় এসেও এক সমুদ্র দুঃখ তার মনে। স্থানীয়দের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় দাবি তুলতে তুলতে হাঁপিয়ে গেছেন অনেকটা। নিজেদের দুর্ভোগ লাঘবে এখন তাই ঊর্ধ্বতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শতবর্ষী এই সুরুজ মিয়া। জানা যায়, স্বাধীনতার পর থেকেই যোগাযোগ সুবিধা বঞ্চিত ধনবাড়ী উপজেলার যদুনাথ পুর ইউনিয়নের এই এলাকাটি। উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের কোনো পাকা রাস্তা নেই জাও আছে ২/৩ কিলোমিটার দূরে। রিকশা বা ভ্যান দূরে থাক, সাইকেলেও চলাচল করা যায় না রাস্তাটি দিয়ে। গত দশ বছরে বাংলাদেশ উন্নয়নে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। এত উন্নয়নের ধারা চলমান থাকা সত্ত্বেও ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন ঘটেনি টাংগাইল জেলার ধনবাড়ী উপজেলার যদুনাথ পুর ইউনিয়নের, মাহমুদপুর, পাতলাচড়া,সহ কয়েক গ্রামের হতভাগা মানুষদের। হাজার মানুষের ব্যবহৃত একটিমাত্র রাস্তা, যা কিনা এখনো কাঁচা মাটির। বর্ষাকালে এই রাস্তার অবস্থা এতটাই খারাপ হয় যে, একজন তরুণ যুবকও সঠিকভাবে চলাচল করতে পারে না। কাদাময় এই রাস্তায় কোনো যানবাহন চলা তো দূরের কথা হেঁটেও চলাচল করা মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। বর্ষাকালে যেন দুর্ভোগের শেষ নেই। প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ এই রাস্তাটি ধনবাড়ী, জামালপুর রোড পযর্ন্ত বিস্তৃত। রাস্তার এই বাজে অবস্থার কারণে এখানকার মানুষরা তাদের বাণিজ্যিক কাজগুলো সঠিক সময়ে সঠিকভাবে করতে পারে না। এখানের অনেক শিক্ষার্থী পার্শ্ববর্তী উপজেলা পড়াশোনা করে। কিন্তু রাস্তার এই বাজে অবস্থার কারণে তারা তাদের শিক্ষালয়ে সঠিক সময়ে পৌঁছুতে পারে না। অনেকে বর্ষাকালে ভাড়ী বর্ষণের সময় স্কুল-কলেজে যেতে পারে না। অনেক সময় এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে রাস্তায় ধান রোপণ করে প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু তাতেও টনক নড়েনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। তাই, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যাতে দ্রুত উদ্যোগ নিয়ে জনগণের দুঃখ লাঘবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।