টঙ্গী গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের এরশাদ নগর ৪৯নং ওয়ার্ডে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস দোওয়া মাহফিল পালন করেছে বিএনপি’র অঙ্গসংগঠনগুলো। বৃহস্পতিবার সকালে এ উপলক্ষে এরশাদ নগরে বিএনপির কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। টঙ্গীর এরশাদ নগরের বিএনপির সাবেক সভাপতি মুজিবুর রহমান মাষ্টারের সভাপতিত্বে ও বাবুল সরকার সাবেক সাধারণ সম্পাদকের সঞ্চালনায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বৃহত্তর টঙ্গী থানা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্রভাবশালী নেতা মোঃ কামরুল ইসলাম কামু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক টঙ্গী সরকারী কলেজের জিএস স্বপন, আতাউর রহমান সেন্টুু, জনি, কিবরিয়া খান, সোহেল চৌধুরী, বাবুল মিয়া, আলাউদ্দিন মিয়া, প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাম কামু বলেন, আওয়ামী দুঃশাসন যখন এ জাতির ঘাড়ে জেঁকে বসতে চেয়েছিল তখন দেশপ্রেমিক সিপাহি জনতার সংহতি একটি উদার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে এনেছিল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে। আমাদের সুযোগ এসেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফলে অর্জিত বিজয়কে কাজে লাগিয়ে তারেক রহমানের নেতৃত্বে এ দেশকে ফের নির্মাণের। বিগত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে বিভিন্ন হামলা-মামলায় নির্যাতিত হয়েছিলাম। আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। দীর্ঘদিন কারাভোগ করার পড়েও কিছু নব্য বিএনপি ও দুস্কৃতিকারীরা আমার সুনাম নষ্ট করতে আমাকে আওয়ামী লীগ বানিয়ে দিচ্ছেন। আমি দীর্ঘদিন কারাভোগ করেছি। কারাগারেও থেকে কিভাবে আমি আওয়ামী লীগ করলাম। মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্র মামলা দিয়ে আমাকে জেল খাটানো হয়েছে। আমি এরশাদনগরকে মাদকমুক্ত ও সন্ত্রাসী মুক্ত করতে চাই। আপনারা আমার সাথে থাকলে অবশ্যই আমার নেতা হাসান উদ্দিন সরকার দিক নির্দেশনায় এই এরশাদ নগরে বিএনপিকে সুসংবন্ধ করে আপনাদের সকলকেই সাথে কাজ করবে। আলোচনা শেষে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের মাগফিরাতের জন্য দোয়া ও মাগফেরাত কামনা করে হাজার হাজার মানুষের মাঝে খাবার ও তবারাক বিতরণ করা হয়।