আবহমান গ্রাম বাংলার সুপরিচিত একটি জলজ উদ্ভিদের নাম কচুরিপানা।ফসলহীন মাঠ জুড়ে,রাস্তার পাশে ডোবা নালায় জমে থাকা পানিতে কচুরি ফুলের সমাহার।সবুজের মধ্যে সাদা, হালকা গোলাপী আর বেগুনি রংয়ের। অযত্নে বেড়ে ওঠা এ ফুল মুগ্ধতা ছড়ায়।কচুরি পানা ফুলে ফুলে এখন প্রায় ডোবা, নালা, খাল-বিলে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে। তেমনি সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নসহ গ্রাম-গঞ্জের প্রায় প্রতিটি এলাকার খাল-বিল, বাড়ির পাশের ডোবায় ফুটেছে দৃষ্টিনন্দন কচুরি পানা ফুল।কবি গুরুর ভাষায় ‘দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া-ঘর হতে শুধু দু’পা ফেলিয়া’ সত্যিকার অর্থেই যেখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এমন এক অবহেলিত উদ্ভিদে এত নয়নাভিরাম, মনোমুগ্ধকর, চিত্তাকর্ষক ফুল,যা প্রকৃতি প্রেমীদের বিমুগ্ধ না করে পারে না। প্রতিটি এলাকায় ভিন্ন ভিন্ন জাতের বিভিন্ন রঙের কচুরি ফুল ফোটে বিভিন্ন ঋতুতে। তবে এ সময় কচুরি পানার ফুল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সৌন্দর্যের পাপড়ি মেলে ধরা কচুরি ফুলের এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে অনেকেই ছবি তুলছেন, বিশেষ করে তরুণ-তরুণীরা। ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা জলাশয় থেকে শিশির ভেজা কচুরি পানার ফুল তুলে খেলা করছে।গ্রামের শিশু-কিশোররাও আনন্দ করে তুলে নিয়ে খেলা করছে।