করোনাকালে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে পিপিই বিতরণের জন্য বহিষ্কৃত সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম ইদ্রিস আলীকে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সদস্যপদ পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালে, প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটি তাকে পিপিই বিতরণের অভিযোগে আজীবন সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করেছিল। তবে, প্রেসক্লাবের বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে সদস্য পদ পুনবর্হাল করা হয়েছে। গত ২৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত প্রেসক্লাবের জরুরি সভায়, ক্লাবের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) আবুল ফজল মো. আব্দুল হাই ডন ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াছিন আরাফাত রবিনের নেতৃত্বে এম ইদ্রিস আলীর বহিষ্কারের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হয়। সভায় অংশগ্রহণকারী সদস্যরা জানান, গঠনতন্ত্রের কোনো ধারায় এম ইদ্রিস আলীকে বহিষ্কার করার সঠিক কারণ ছিল না এবং এটি ছিল একটি অসাংবিধানিক সিদ্ধান্ত। কোষাধ্যক্ষ এহসানুল হক (এহসান বিন মুজাহির) প্রস্তাব করেন, যদি গঠনতন্ত্রের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়ে থাকে, তবে তাকে সম্মানের সাথে পুনর্বহাল করা উচিত। তার প্রস্তাবের পক্ষে অধিকাংশ সদস্য মতামত দেন এবং বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এরপর, ২৯ অক্টোবর, প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে এম ইদ্রিস আলীকে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি চিঠি পাঠানো হয়, যাতে তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের কথা জানানো হয়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, এম ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে নেওয়া পদক্ষেপটি ছিল “অগঠনতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক” এবং রাজনৈতিক চাপের মধ্যে এটি সম্পন্ন করা হয়েছিল। এম ইদ্রিস আলী এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বিএনপির রাজনীতি করা ও তারেক রহমানের পক্ষ থেকে পিপিই বিতরণ করার জন্য আমাকে অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তিনি শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে পেশাগত দায়িত্ব পালনে সহকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন। এদিকে, শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের বর্তমান সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) আবুল ফজল মো. আব্দুল হাই ডন ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াছিন আরাফাত রবিন প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, এম ইদ্রিস আলীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়ে কার্যনির্বাহী পরিষদের জরুরি সভায় প্রস্তাব পেয়ে আমরা ওই সভায় ক্লাবের গঠনতন্ত্র পর্যালোচনা করে দেখেছি বিএনপির রাজনীতি করার কারণে সাবেক সম্পাদককে অগঠনতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক এবং রাজনৈতিক চাপের কারণে বহিষ্কার করা হয়। তাই সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে স্বসম্মানে সদস্য পদ পুনবর্হালের চিঠি পাঠিয়েছি।