খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ও আইনজীবী গুরপতওয়ান্ত সিং পান্নুন গত বছরের ১৬ ও ১৭ নভেম্বর ভারতের অযোধ্যা রাম মন্দিরসহ হিন্দু মন্দিরগুলোতে হামলার হুমকি দিয়েছিলেন। ইন্ডিয়া টুডে এই খবর প্রকাশ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্রুপ শিখস ফর জাস্টিস প্রকাশিত একটি ভিডিও বার্তায় এর প্রতিষ্ঠাতা পান্নুন বলেছেন, ‘আমরা হিংস্র হিন্দুত্ববাদী মতাদর্শের জন্মস্থান অযোধ্যার ভিত্তি কাঁপিয়ে দেবো।’ ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভিডিওটিতে জানুয়ারিতে মন্দির উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রার্থনার ছবিও দেখা গেছে। ইউএপিএ (বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন)-এর অধীনে শিখ ফর জাস্টিসকে ভারতে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে। অতীতে পান্নুন ভারতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে একই ধরনের হুমকি দিলেও দৃশ্যত তা আমলে নেয়নি। গত ৩ নভেম্বর কানাডার ব্রাম্পটনে হিন্দু সভা মন্দিরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ভারতীয় হাইকমিশনের রুটিন কনস্যুলার ক্যাম্প চলাকালীন খালিস্তানপন্থী গোষ্ঠীগুলোর বিক্ষোভের পর পান্নুনের হুমকির ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ঘটনার ভিডিওতে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীরা লাঠি দিয়ে মন্দিরের
দর্শনার্থীদের ওপর হামলা করছে। উত্তেজনা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আক্রমণকারীরা ভারতীয় পতাকাধারী একটি গোষ্ঠীর পাল্টা প্রতিবাদের মুখোমুখি হয়েছিল। সাম্প্রতিক ভারত-কানাডা সম্পর্কের তীব্র জটিলতার মধ্যে কানাডায় হিন্দু মন্দির ভাঙচুর করার ঘটনা ঘটেছে। যদিও প্রকৃতপক্ষে ভক্তদের আক্রমণের কোনো ঘটনা এখনও পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়নি। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ২০২৩ সালের জুন মাসে ভ্যাঙ্কুভারের কাছে আরেক খালিস্তানপন্থী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারকে হত্যার ঘটনায় ভারতীয় সরকারের এজেন্টদের জড়িত থাকার অভিযোগ করার পর নয়াদিল্লি ও অটোয়ার মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায়। নিজ্জার খালিস্তান টাইগার ফোর্সের প্রধান ছিলেন। এটিকেও ভারতে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বলা হয়। গত অক্টোবরে ভারতীয় এক সাবেক সরকারি কর্মকর্তাকে নিউইয়র্কে পান্নুন হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে কানাডা স্পষ্টভাবে দাবি করেছে, ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজ্জার হত্যাকা-ে জড়িত ছিলেন। সূত্র: ন্যাশনাল হেরাল্ড