হেমন্তের শিশির ভেজা সকাল শীতের আগমনী বার্তা দেয়। পূব আকাশে সোনালী সুর্যের লাল আভা খেজুর গাছের পাতার ফাক দিয়ে জানান দিয়ে যায়, রস সংগ্রহের সময় এসেছে। প্রকৃতির নিয়মে শীতের আগমনের সাথে সাথে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের গাছিরা খেজুর গাছ পরিচর্যায় ব্যাস্ত হয়ে পরেছে? খেজুর গাছের মাথার অংশ থেকে পাতা ডাল পরিস্কার করে কয়েকদিন অপেক্ষার পর রস সংগ্রহের পর্ব শুরু হয়। শীতের আগমনের প্রথম থেকেই খেজুর গাছের এসব পরিচর্যা শুরু হয়। সারা দেশের মধ্যে ফরিদপুরের খেজুরের গুড়ের ঐতিহ্য ও সুনাম রয়েছে। আর মাত্র কয়েকদিন পর থেকেই খেজুরের রস থেকে পাটালি গুড় তৈরী হবে?কুয়াশা ভেদ করে শিশির ভেজা পথে কাকডাকা ভোড়ে শুরু হবে গাছ থেকে রস সংগ্রহের পালা। চলবে একটানা ফালগুন মাস পর্যন্ত। এ পেশার সাথে যুক্ত উপজেলার একাধিক গাছিরা জানান,সময়ের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে খেজুর গুড়ের ঐতিহ্য ও সুনাম। দিন দিন খেজুর গাছের সংখ্যা কমে যাচ্ছে, অকারনে খেজুর গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে, নতুন করে কেউ আর খেজুর গাছ তেমন বেশী রোপন করছেনা। ফলে দিন দিন বিলীন হয়ে যাচ্ছে খেজুর গাছ?আসল এক কেজি খেজুর গুড়ের মুল্য ৬০০/৭০০ টাকা হলেও গাছের সংখ্যা কম থাকায় চাহিদা থাকা সত্বেও যোগান দেওয়া যাচ্ছেনা। যার ফলে শীতের বিভিন্ন রকম পিঠা পুলিতে খেজুর গুড়ের কদর থাকলেও পাওয়া যায়না।। উপজেলার সচেতন মহল মনে করেন হারানো ঐতিহ্য খেজুরের রস ও গুড়ের বিভিন্ন রকম পিঠা পুলির উৎসব ফিরিয়ে আনতে হলে বেশি করে খেজুর গাছ লাগাতে হবে?তবেই আবার ফিরে আসবে ফরিদপুরের হারানো ঐতিহ্য খেজুর গুড়ের পাটালি।