ফরিদপুরের সালথায় ফুলবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মহিউদ্দীনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগের সংবাদ সংগ্রহকালে চার সাংবাদিকের সাথে খারাপ আচরণ (লাঞ্ছিতের) ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২০ নভেম্বর) ফুলবাড়িয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফুলবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জানায়, রবিবার প্রধান শিক্ষক মহিউদ্দীনের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে। সোমবার সকালে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে বিদ্যালয়ের মাঠে মানববন্ধন করে অন্তত ৫০ জন শিক্ষার্থী। তারপর একটি সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করেন প্রধান শিক্ষক। ভূক্তভোগী সাংবাদিকরা জানান, মানববন্ধন ও সালিসের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে প্রধান শিক্ষক ও বল্লভদী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দীনের নির্দেশে সাদ্দাম সোহেনসহ কয়েকজন মাই টিভির স্থানীয় প্রতিনিধি শফিকুল খান জনি, মানবজমিন প্রতিনিধি লিয়াকত আলী, সংবাদের আজিজ ফকির ও কালবেলার আরিফুজ্জামান হিমনকে লাঞ্ছিত করেন। এ সময় ছিনিয়ে নেন তাদের ক্যামেরা ও বুম। পরে ওই চার সাংবাদিককে একটি রুমের মধ্যে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা। পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। যৌন হয়রানির বিষয়ে মহিউদ্দীন বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এ ছাড়া সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করার বিষয়ে তিনি বলেন, ঘটনাটি মাঠের মধ্যে ঘটেছে। আমি তখন স্কুলের রুমে ছিলাম। মামলার বাদী লিয়াকত আলী বলেন, আসামীরা প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে তার দালালি করতে এসে সাংবাদিকদেরকে লাঞ্ছিত করে। সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আতাউর রহমান বলেন, মঙ্গলবার রাতে মানবজমিনের স্থানীয় প্রতিনিধি লিয়াকত আলী বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন। মামলা হওয়ার পর বুধবার দুপুরে আসামি সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।