মাহবুবুল আলম চৌধুরী অহিংস আন্দোলনের নামে নিরীহ মানুষগুলোকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় সমাবেশ করার চেষ্টা করেছিল। তার মূল উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য ছিল সরকার পতনের।
সূত্রে প্রকাশ,মাহবুবুল আলম চৌধুরী ছিলেন মোতালিব প্লাজা শপিং কমপ্লেক্স এর ডেভলপার গুড লাক রিয়েল এস্টেট কোম্পানির একজন পিয়ন। তিনি অনিয়ম দুর্নীতি এবং দালালির মাধ্যমে বেশ কয়েকটি দোকান মালিক বলে যান। মাহবুবুর রহমান বাচ্চু ওরফে মোটা বাচ্চু গং কে বিভিন্ন সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার কারণে এবং ডেভলপার গুড লাক রিয়েল স্টেট কোম্পানিতে দুর্নীতি এবং অনিয়মের কারণে তার চাকরি চলে যায়। মাহবুবুল আলম চৌধুরী শুধু সরকার পতনের নোংরা রাজনীতিই নয় মোতালিব প্লাজা শপিং কমপ্লেক্স এ ৬০০ দোকান মালিকের নির্বাচনের দাবি উপেক্ষা করে মাহবুবুর রহমান বাচ্চু ওরফে মোটা বাচ্চু, শামীম মোল্লা, শাহ আলম বেপারী, আলমগীরসহ অন্যান্যদেরকে সাথে নিয়ে নির্বাচন বিহীন একটি কমিটি করে মোতালিব প্লাজার মালিক সমিতি দখল করতে চায়। তিনি মাহবুবুর রহমান বাচ্চু ওরফে মোটা বাচ্চুর উপদেষ্টা এবং ঘনিষ্ঠ সহচর। বর্তমানে মোতালেব প্লাজা শপিং কমপ্লেক্সে তার কোন মালিকানা দোকান নাই তার সমস্ত দোকান সে বিক্রি করে দিয়েছে। গত ১৮-১১-২০২৪ ইং সোমবার মরহুম খন্দকার দেলোয়ার সাহেবের ছোট ছেলে আক্তার হামিদ পবন দোকান মালিকদের নিয়ে নির্বাচন বিষয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করেছিল সেখানেও তারা বিভিন্নভাবে সহিংসতা এবং বাধা প্রদান করে। তাদের অত্যাচারে মোতালিব প্লাজার দোকান মালিক, ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ।
অহিংস গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশ’ নামের একটি সংগঠনের অন্যতম সংগঠক মাহবুবুল আলম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য,গত সোমবার রাত সোয়া আটটার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের একটি দল ঢাকার শান্তিনগর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
সিটিটিসি সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাহবুবুল আলম চৌধুরীকে শান্তিনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি অহিংস গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ও অন্যতম আহ্বায়ক। মাহবুবুল আলম চৌধুরীকে এরই মধ্যে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এক লাখ টাকা করে ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজনকে এনে সোমবার ভোরে রাজধানীর শাহবাগে সমবেত করার চেষ্টা করে ‘অহিংস গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশ’। প্রলোভনে পড়া লোকজন ও শাহবাগ থানা-পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছে। প্রলোভনে পড়া লোকজন বলছেন, ‘অহিংস গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশ’ নামের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। শাহবাগে যাঁরা উপস্থিত হবেন, তাঁদের এক লাখ টাকা করে ঋণ দেওয়া হবে। পুলিশ ও শাহবাগে আসা লোকজন বলছেন, এমন প্রলোভনে পড়ে গতকাল রোববার দিবাগত রাত একটার পর সারা দেশ থেকে বাস, পিকআপ ও মাইক্রোবাসে সাধারণ মানুষ ঢাকায় আসতে শুরু করেন। পরে পুলিশ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আসা লোকজনকে বুঝিয়ে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করেন।